দুদক দুরবীন দিয়েও খুজে পায় না যে দুর্ণীতির খনি!

সমাজে কিছু কিছুক্ষেত্র আছে যেখানে চতুর্দিক হতে অজস্র টাকা আসে। অথচ তা ব্যয়ের সুনিদিরষ্ট খাত নেই,কারো কাছে জবাবদিহিতাও নেই।
যেমন (০১) পীরের দরবারে নজরানা:

এটা সমাজে ব্যাপক প্রচলিত অথচ অনিবন্ধিত অর্থ উপার্জনের অন্যতম খাত।এখানে চারিদিক হতে ঁহষরসরঃবফ টার্গেটবিহীন অজস্র টাকা আসে যা সংগ্রহ ও পরিচালনের পুর্বনির্ধারিত ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। ফলে তা আয়োজকদের ইচ্ছা ও মর্জিমাফিক ব্যয় করা হয়।মুরীদান,সুবিধাভোগি, বাইয়াত প্রত্যাশী,বিভিন্ন স্থানের খানকা ও দানবাক্স, বিভিন্ন দিবসে হালকা -জিকির ও বার্ষিক উরস মাহফিল এবং ব্যাক্তিগত কন্টাকের মাধ্যমে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের অনুদান ইত্যাদি মিলে অকল্পনীয় ও অপরিমেয় অর্থের সমাগম ঘটে।এর খাতের বিশালতাই বলে দেয় যে, এর সঠিক তদন্ত কতটা দু:সাধ্য!

একটি মজার বিষয় হলো, সব খাতের দাতারাই দিতে পেরেই মহা খুশি।দনের পর মোট কত হল?কোথায় ব্যয় হলো,অপচয়, আত্মসাত কিংবা খোয়া গেল কিনা সে বিষয়ে কেউ ঘুনাক্ষরেও জানার তোয়াক্কা করে না।তবে এখন মুরিদ -সাগরেদ দের একটা অংশ এ ব্যাপারে সক্রিয় হয়েছে কিন্তু সেটা দাতা স্বার্থের জন্য নয়,বরং নিজের ভাগ নিশ্চিত করার জন্য।
সুচতুর গদ্দিনসীন লিল্লাহবোর্ডিং পরিচালনা,সম্প্রসারন এবং নতুন বিল্ডিং নির্মানের কাজ জিইয়ে রাখেন প্রতিনিয়ত।ফলে মুরীদান ও দলকানাদের চোখে কখনোই সন্দেহের লেশমাত্র জাগে না।

ঢাকা শহরের পেশাদার ভিক্ষুকরা যেমন ভিক্ষার টাকায় একসময় ফ্লাট কেনার পরেও ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়তে পারে না।পীর ও লিল্লাহবোর্ডিয়ের সাথে জড়িত পেশাদার রাও তেমনি উপরোক্ত ইনকামের দরজা বন্ধের চিন্তাই করতে পারে না।বরং বংশ পরম্পরায় তা আরো আধুনিক ও অভিনব গতিতে চলমান থাকে।

আমি নিজে কয়েকবছর রাজধানীর ফার্মগেট,আরামবাগ ও বনানী সহ দেশের একাধিক স্পটগুলোত্বে দেখেছি শুধু উরস মাহফিলকে উপলক্ষ করেই কত শত ট্রাক চাল,ডাল,মসলা,পেয়াজ ইত্যাদি,বিদেশি উট, হাজার হাজার গরু,বেহিসাবী ছাগল আসে যার হিসাব রাখতেই হিমসিম খেতে হয়।

দুদক সাধারনত এই খাতে দুর্নীতি বা তার তদন্তকে দায়িত্বের মধ্যে গন্য করে না।কদাচিত করলেও তদন্তে কোন কুল কিনারা করতে পারবেনা।তাছাড়া পীরের কেরামতিতে ভষ্ম হয়ে নি:স্ব হওয়ার ভয় তো আছেই।

 

আরও পড়ুন...