পিবিএ,দুমকি(পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর দুমকিতে বার্ড ফ্লু রোগাক্রান্তে এক ব্যবসায়ীর ‘মেসার্স সততা পোল্ট্রি এন্ড মৎস’ ফার্মের অন্তত: সাড়ে চার হাজার মুরগির মৃত্যু হয়েছে। ফার্মের প্রতিটি দেড় কেজি ওজনের মুরগি বিক্রির পূর্বমুহুর্তে মাত্র দু’তিন দিনে প্রায় সবগুলো মারা যাওয়ায় বাজ পড়েছে ব্যবসায়ীর মাথায়। এতে ওই পোল্ট্রি ব্যবসায়ির অন্তত: ৫লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার জলিশা কদমতলা বাজারের পোল্ট্রি খামারী শাহজাহান ফকিরের সততা পোল্ট্রি ফার্মে বার্ড ফ্লু’র প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে গত শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত অন্তত: সাড়ে ৪হাজার মুরগি মারা গেছে। অবশিষ্ট মুরগিও প্রতিদিন কমবেশী মারা যাচ্ছে। নিজস্ব ও ধারদেনায় সংগৃহীত পূঁজিতে গড়ে তোলা এ পোল্ট্রি খামারে বেড়ে ওঠা দেড় কেজি ওজনের মুরগিগুলো আকস্মিক মারা যাওয়ায় তিনি চোখে সর্ষে ফুল দেখছেন। তিনি বিলাপ করে বলেন, আমি শেষ। ধার-দেনায় সংগ্রহীত পূজিঁতে তৈরী করা ফার্মের মুরগিগুলো হঠাৎ করে রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় মারাত্মক ক্ষতির সন্মুখীন হয়ে পড়েছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, ফার্মের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রাণী সম্পদ বিভাগের কোন রকম সহযোগিতা তিনি কখনও পাননি। খবর দিলেও কেউ এগিয়ে আসেননি।
স্থানীয় লোকজন, শুভাকাঙ্খীরা খবর পেয়ে ছুটে এসে এমন ভয়াবহ চিত্র দেখে সবাই হতবাক। খবর পেয়ে প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারাও ফার্মটি পরিদর্শণ করে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। তবে তারা এটিকে ‘বার্ড ফ্লু’ বলতে নারাজ।
সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মশিউর রহমান বলেন, বার্ড ফ্লু নয়, এটি অন্য কোন ভাইরাস জাতীয় রোগ হতে পারে। নিশ্চিৎ করে বলা যাচ্ছে না। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোন কিছু নিশ্চিৎ করে বলা ঠিক হবে না। উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের উপ-সহকারী ভেটেরিনারী কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, যথাযথ পরিচর্যা, নিবিড় পর্যবেক্ষন ও পূর্ব থেকে সতর্ক থাকলে এত ভয়াবহ ক্ষতি এড়ানো সম্ভব ছিল। রোগ ধরা পড়ার সাথে সাথে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে পারলে কিছুটা রক্ষা পেত। এটা ওই খামারীর অসচেতনতা এবং যথাসময়ে প্রাণী সম্পদ বিভাগ কিম্বা চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হলে এতো বড় আর্থিক ক্ষতি এড়ানো সম্ভব ছিল। এখন তো শান্তনা দেয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই।
পিবিএ/সোহাগ হোসেন/এসডি