দুর্গম পার্বত্য এলাকায় খোঁজ মিলেছে ভারতীয় নিখোঁজ বিমানের ধ্বংসাবশেষ

পিবিএ,ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশের সিয়াং জেলার দুর্গম পার্বত্য এলাকা পেয়াম সার্কেলে নিখোঁজ বিমান এএন ৩২-র ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানকার ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। ছবি দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমানটি ভেঙে পড়ার পরই আগুন জ্বলে গিয়েছিল। যার জেরে আশপাশের গাছগুলো পুরো ঝলসে গিয়েছে। ঘন অরণ্যে ঢাকা অরুণাচল প্রদেশের এই পার্বত্য এলাকায় গত মঙ্গলবার বিমানবাহিনীর এমআই-১৭ হেলিকপ্টার তল্লাশি চালানোর সময় অরণ্যের বিশাল পুড়ে যাওয়া অংশটি দেখতে পান। দেখতে পান ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিমানের ধ্বংসাবশেষও। তার পরই বিমানবাহিনীর তরফে এক বিবৃতি জারি করে সুনিশ্চিত করা হয়, এটাই সেই নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ।
তবে এখন বিমানের কেউ বেঁচে রয়েছেন কিনা তার সন্ধান চলছে। পাঠানো হয়েছে স্থানীয় অভিযাত্রীদের। হেলিকপ্টার অবতরণেরও চেষ্টা চলছে। বুধবার সকালে সেনাদের ৮-১০ জনের একটি উদ্ধারকারী দলকে এয়ার ড্রপ করা হয়েছে। হেঁটে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন তাঁরা।
জানা গেছে, গত ৩ জুন সোমবার দুপুর ১২টা ২৫ মিনিট নাগাদ আসামের জোরহাট বিমানবাহিনীর ঘাঁটি থেকে অরুণাচল প্রদেশের মেচুকা উপত্যকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল আন্তোনভ এএন-৩২ বিমানটি। সেখানে চীন সীমান্ত সংলগ্ন অ্যাডভান্স ল্যান্ডিং গ্রাউন্ডে নামার কথা ছিল সেটির। সেদিনই দুপুর ১টা নাগাদ শেষ বার বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ করা গিয়েছিল। তার পর আর খোঁজ মেলেনি। বিমানটিতে আটজন ক্রু ও পাঁচ জন যাত্রী ছিলেন। নিখোঁজ বিমানটির সন্ধানে সুখোই ৩০ ও সি-১৩০ বিমানসহ স্পাই বিমানকে পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
নিখোঁজ বিমানটির খোঁজ দিতে পারলে ৫ লাখ রুপি পুরস্কারও ঘোষনা করেছিল বিমানবাহিনী কর্তৃপক্ষ। নয় বছর আগেও মেচুকা যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল এএন-৩২ মডেলের এই পণ্যবাহী বিমান। রাশিয়ার তৈরি এই বিমানের ২০১৬ সালেও একবার ভেঙে পড়ার নজীর রয়েছে। এছাড়া ২০১৬ সালে জুলাই মাসে রহস্যজনক ভাবে আন্তোনভ এএন-৩২ বিমানের নিখোঁজ হওয়ার রেকর্ড রয়েছে। সেবার চেন্নাই থেকে বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে আন্দামান-নিকোবর যাওয়ার পথে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল বিমানটির। ওই বিমানে ২৯ জন ছিলেন। বহু তল্লাশির পরও সেই বিমানের কোনও হদিশ আজও মেলেনি। পাওয়া যায়নি ধ্বংসাবশেষও।

পিবিএ/বা.খ

আরও পড়ুন...