দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবরোধের মুখে স্থবির জাবি’র প্রশাসনিক কার্যক্রম

পিবিএ,জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) তিন দফা দাবিতে পূর্ব ঘোষিত প্রশাসনিক ভবন অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীরা।

এতে স্থবির হয়ে পড়েছে সকল ধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম। কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী দুপুর পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে পারেনি। ফলে শিক্ষা কার্যক্রমসহ সকল কর্মকান্ড বন্ধ হয়ে আছে। ভোগান্তির কবলে পড়েছে সেবা গ্রাহকরা।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে। এতে কয়েকজন শিক্ষকসহ জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের জাবি শাখার নেতাকর্মী অংশ নিয়েছেন।

আন্দোলনকারীদের দাবি, অপরিকল্পিত মাস্টার প্লানের অধীনে তড়িঘড়ি করে ‘অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের’ কাজ শুরু করা হয়েছে এবং অপরিকল্পিতভাবে যে কয়েকটি স্থাপনার কাজ শুরু হয়েছে তাতেও ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে বলে তারা জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জেনেছেন। এজন্য প্রকল্পে অপরিকল্পনা ও দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং তিন দফা দাবি আদায়ে তারা এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন।

দাবিগুলো হলো—বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের তিনটি হল স্থানান্তর করে নতুন জায়গায় দ্রুত কাজ শুরু করা, মেগাপ্রজেক্টের টাকার দুর্নীতির ব্যাপারে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা, টেন্ডারের শিডিউল ছিনতাইকারীদের শাস্তি প্রদান ও মেগাপ্রজেক্টের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে সকল ব্যয়ের হিসেব জনসম্মুখে প্রকাশ করা এবং মেগাপ্রজেক্টের বাকি স্থাপনার কাজ স্থগিত রেখে সকল স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে মাস্টারপ্লান পুনর্বিন্যাস করা।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ জাবি শাখার যুগ্ন আহবায়ক জয়নাল আহমেদ শিশির পিবিএ’কে বলেন, প্রশাসন একগুয়ে আচরণ করছে। এর সত্য জবাব ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা দিবে। প্রশাসন দাবি মেনে না নিলে আমরা লাগাতার কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি, আশিকুর রহমান পিবিএ’কে বলেন, তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি চলাকালে তাদের দাবি মেনে না নেওয়া হলে তারা আলোচনা করে নতুন কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্বান্ত নেবেন।

এদিকে শিক্ষার্থীদের অবরোধ কর্মসূচির বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের বার্তা পাওয়া যায়নি।

পিবিএ/শাহিনুর রহমান শাহিন/এমএসএম

আরও পড়ুন...