দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে গাজি কালুর টিলায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। ওই শিক্ষার্থীর নাম বুলবুল আহমেদ। তিনি লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
সোমবার (২৫ জুলাই) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আবু হেনা পহিল বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টার আনা হয়। বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাতে ওই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারেই তার পালস (হৃদক্রিয়া) পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তাকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’ তবে কারা ছুরিকাঘাত করেছে এই বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
শিক্ষার্থী বুলবুলকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যালে নিয়ে আসা শাবির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ফজলুর রহমান বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ছুরিকাহত শিক্ষার্থীকে গাজী কালুর টিলা থেকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে আসা হয়। তার বুকে ও হাতে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়েছে। পরে মেডিক্যাল সেন্টারে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওসমানী মেডিক্যালে পাঠান। ওসমানী মেডিক্যালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার ওসি নাজমুল হুদা খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের সামনের টিলায় এক ছাত্রী প্রথমে আহতবস্থায় বুলবুলকে দেখতে পায়। পরে তাকে শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে ওসমানী মেডিক্যালে পাঠানো হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত বুলবুলের বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল।
সিলেট পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করছে। পরিবারের লোকজন এলে ময়নাতদন্ত করে দেখা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে এমন ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। দ্রততম সময়ে হত্যাকারীকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও কাজ করছে বলে জানান তিনি।