দূর্গাপূজা ঘিরে উস্কানি থাকলেও যেকোন ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে র্যাব বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। এই সময় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে র্যাব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। বোম্ব ডিসপোজ্যাল ইউনিট এবং গোয়েন্দা শাখা কাজ করবে। এছাড়া, পুজা ঘিরে যেকোন ধরণের গুজব ঠেকাতে র্যাবের সাইবার পেট্রোলিং জারি রয়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এলিট ফোর্সের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একইসঙ্গে, ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলি বর্ষণকারী, হামলাকারীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মুনিম ফেরদৌস জানান, র্যাবের সদস্যরা ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালায় নাই। অনেক বাহিনীর অনেকে পালিয়ে গেলেও, র্যাবের কেউ পালায়নি। হেলিকপ্টার থেকে কেবল টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে। ১১৭০ জনকে র্যাব গ্রেফতার করেছে।
প্রতিদিনই কিছু না কিছু উন্নতি আছে। এলিট ফোর্সের ক্যাম্পগুলোতে জনবল সংকট রয়েছে। র্যাবের যে মূল ম্যান্ডেট, সে অনুযায়ী কাজ চলমান আছে। আশুলিয়া, বাইপাইল এলাকা, যেখানে কিছুটা অস্থিরতা রয়েছে, সেখানে র্যাব কাজ করছে।
সাগর-রুনি হত্যা মামলা থেকে র্যাবকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের আদেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি টাস্ক ফোর্স গঠণ করা হয়েছে। তদন্তকে বেগবান করতেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
পাশাপাশি তদন্ত প্রতিবেদন অসংখ্যবার পেছানোর বিষয়ে তিনি বলেন, তদন্ত করার জন্য আরও অভিজ্ঞদের নিয়োগ করা হয়েছে।
পাশের দেশে সাবেক সরকারের অনেক মন্ত্রী, এমপি, নেতাদের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, র্যাবের কোন গাফিলতি নেই। র্যাবও একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখেই এই বিষয়ে জানতে পারে।