পিবিএ,নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ে উর্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী/পূর্ত কর্মকর্তা (আইডাব্লু) মোঃ তহিদুল ইসলাম এর বেপরোয়া দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় ৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার হুমকি প্রদান করেছে ওই কর্মকর্তা। সাংবাদিকবৃন্দ হলেন মোঃ মীর রমজান আলী টুটুল (দৈনিক নওরোজ), সাদিকুল ইসলাম (চ্যানেল এস), মোঃ জাকির হোসেন (দৈনিক নয়াদিগন্ত ও প্রেস বাংলা এজেন্সি-পিবিএ, নীলফামারী প্রতিনিধি, জয়নাল আবেদীন হিরো (বিজয় টিভি ও দৈনিক ভোরেরপাতা) ও আমিনুল হক (সাপ্তাহিক আলাপন সম্পাদক)।
রেলওয়ের কোয়াটার, বাংলো পরিত্যক্ত ও খালি দেখিয়ে খাতা কলমে তা থেকে রেলওয়ের আয় নেই বলে উল্লেখ করে সেইসব কোয়াটার ও বাংলোতে আর্থিক সুবিধা নিয়ে অবৈধভাবে রেলওয়ে কর্মচারীদেরকেই বিনা বরাদ্দে বসবাসের সুযোগ করে দেওয়া, ফাঁকা জায়গা দখল করে ঘর নির্মানে বাধা দেওয়ার পরিবর্তে মাসোহারা আদায় করে নিজের পকেটে ভরা, টেন্ডার ছাড়াই গাছ কেটে বিক্রি করাসহ নিজের অফিস ভবনের কক্ষ বহিরাগতদের ভাড়া দিয়ে অর্থ তসরুপ, রেলওয়ে কারখানায় টেন্ডার ছাড়াই টয়লেট সংস্কার, কোয়াটার বা বাংলো সংস্কারের নামে দূর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগে বিগত কয়েক দিন থেকে ওই পূর্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দৈনিক নয়াদিগন্তসহ জাতীয়, স্থানীয় সাপ্তাহিক ও আঞ্চলিক পত্রিকা এবং অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এসব সংবাদে প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত ও সত্য কথা তুলে ধরা হয়েছে এবং এক্ষেত্রে ওই পূর্ত কর্মকর্তাসহ উর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মন্তব্যও নেওয়া হয়েছে। এমনকি এ সংবাগুলো রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর পিএস’র ফেসবুক পেজ এ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে শেয়ার করা হয়েছে এবং সংবাদগুলোর বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ সংবাদগুলোর বিরুদ্ধে পূর্ত কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম নিয়মতান্ত্রিকভাবে কোন প্রতিবাদ না দিয়ে তার দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশ বন্ধ করতে আইনের আশ্রয় নেওয়ার হুমকি প্রদান করে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১১ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সৈয়দপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিথ্যে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের এজাহার দায়েরের জন্য যায় বলে জানা গেছে। উক্ত এজাহারে তিনি ৫ জন সাংবাদিককে আসামী করে অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু এজাহারটি গ্রহণ করা হয়নি। তারপরও এজাহারের কপিটি পূর্ত কর্মকর্তা তার ফেসবুক আইডিতে পোষ্ট করে প্রচার করেছেন। সে সাথে এজাহারের কপি সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যম ও প্রধান প্রকৌশলী (পশ্চিম), বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজশাহী, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্বাবধায়ক (ডিএস), সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (আইসি), র্যাব-১৩ নীলফামারী কমান্ডার, বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা (পাকশী) এবং সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি/সম্পাদক কে অনুলিপি প্রদান করেছেন। এভাবে তিনি নিজেই একটি অনিয়মতান্ত্রিক ও অনুমোদিত এজাহার প্রকাশ করার মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করেছেন। যাতে সাংবাদিকরা ভয় পেয়ে তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ বন্ধ করে। এমতাবস্থায় বিষয়টি নিয়ে শহরজুড়ে গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।
পিবিএ/জাকির হোসেন/বিএইচ