‘দেওয়ার কথা ১০ কেজি, পাইছি ৬ কেজি’

রাজন্য রুহানি,জামালপুর: দেওয়ার কথা ১০ কেজি। কেউ পেয়েছে ৬ কেজি কেউবা ৭ কেজি। ১০ কেজি হারে ৩ হাজার ৪২৫ জন ভিজিএফ কার্ডধারীরা পাবেন ৩৪ দশমিক ২৫০ মেক্ট্রিক টন চাল। অথচ ওজনে কম দিয়ে বাকি চাল বগলদাবা করছেন চেয়ারম্যান। এমন অভিযোগের মধ্যেই চলছে জামালপুরের ইসলামপুর সদর ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল বিতরণ কার্যক্রম।

ভিজিএফ কার্ডধারীদের মধ্যে অনেকেই এমন অভিযোগ তুললেও তা অস্বীকার করেছেন সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান চৌধুরী শাহিন। তিনি জানিয়েছেন, ওজনে কম দেওয়ার প্রশ্নই আসেনা। যদি কেউ চাল কম পেয়ে থাকে তবে বিষয়টি আমি দেখছি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এ চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। শুক্রবার ও শনিবার উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে এ চাল উত্তোলন করেন ওই ইউপির চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান চৌধুরী শাহিন।

রবিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবন কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থিত সদর ইউনিয়ন পরিষদে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কার্ডধারীদের ছয় থেকে সাত কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে।

সদর ইউনিয়নের গংগাপাড়া গ্রামের নুরভান বেগম ও আসমা বেগম বলেন, দেওয়া কথা ১০ কেজি, পাইছি ৬ কেজি। ৬ কেজি ওজনের চাল নিয়ে উপজেলায় ইউএনও স্যারের নিকট গিয়েছিলাম বিচার দেওয়ার জন্য। কিন্তু স্যারকে অফিসে পাইনি।

কাচিহারা গ্রামের আলমাস মিয়া বলেন, সরকার আমাদের ১০ কেজি করে চাল দিছে। আর আমি পাইছি সাত কেজি।

একই এলাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে আমাদেরকে চাল ওজনে কম দিয়েছে। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন।

ওই ইউনিয়নের ভিজিএফের চাল বিতরণ কার্যক্রম তদারকি কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপজেলা বিআরডি কর্মকর্তা সেলিম মিয়া জানান, আমি থাকা অবস্থায় কাউকে চাল ওজনে কম দেওয়া হয়নি। যখন বাইরে গিয়েছিলাম তখন হয়তোবা কম দিতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত এ অনিয়মের কথা কেউ আমাকে জানায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মু. তানভীর হাসান রোমান জানান, ‘আমি জামালপুর মিটিংয়ে আছি।বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’

আরও পড়ুন...