পিবিএ ডেস্ক: আমেরিকার সবচেয়ে পুরাতন মসজিদটির বয়স একশো বছর পেরিয়েছে দশ বছর আগে। এতে মুসলমানদের সঙ্গে আমেরিকার শত বছরের সম্পর্কের বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। আমেরিকার সর্বপ্রাচীন মসজিদটি ছাড়াও আরো তিনটি প্রাচীন মসজিদ।
আমেরিকার প্রাচীনতম মসজিদটির অবস্থান নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে। উনবিংশ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত মসজিদটি দুইতলা বিশিষ্ট। ১৯০৭ সালে বাল্টিক দেশগুলো থেকে আগত শ্বেতাঙ্গ মুসলমানরা এটি নির্মাণ করেন। এর আগে স্থানীয়রা এটি গির্জা হিসেবে ব্যবহার করতো। তাতার জনগোষ্ঠীর এই অভিবাসীরা গির্জা-ভবনটি কিনে মসজিদে রূপান্তরিত করেন।
নর্থ ডাকোটা মসজিদ, নর্থ ডাকোটা
কানাডার সীমান্তে অবস্থিত নর্থ ডাকোটা মসজিদটি আমেরিকার দ্বিতীয় প্রাচীনতম মসজিদ। ১৯২৯ সালে আমেরিকায় সিরীয় ও লেবানিজ অভিবাসীরা এটি নির্মাণ করেন। চারটি সরু মিনার ও একটি গম্বুজের সমন্বয়ে নির্মিত মসজিদটি ১৯৭৯ সালে ভেঙে পড়েছিলো। ২০০৫ সালে এটি সংস্কার করা হয়।
মাদার মসজিদ, সিডার র্যাপডিস, আইওয়া
বৃহত্তর সিরিয়া থেকে আগত সিরীয় অভিবাসীদের দ্বারা মসজিদটি ১৯৩৪ সালে নির্মিত হয়। মসজিদটি রোজ অব ফ্রেটারনিটি লজ এবং মুসলিম টেম্পল হিসেবেও পরিচিত। বর্তমানে স্থানীয়রা নিকটবর্তী সিডার র্যাপডিস ইসলামিক সেন্টারে নামাজ আদায় করে। মাদার মসজিদটি বর্তমানে ঐতিহ্যগত নিদর্শন সংরক্ষিত রয়েছে।
রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে নির্মিত প্রথম এই মসজিদটি আমেরিকাতে বসবাসরত আফ্রিকান মুসলমানদের দ্বারা নির্মিত। ১৯৩০ এর দশকে এটি নির্মিত হয়। প্রাথমিকভাবে ন্যাশন অব ইসলামের মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হলেও ১৯৬০’র দশকে নাগরিক অধিকারকর্মী ম্যালকম এক্সের সহায়তায় মসজিদটি সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।১৯৭৫ সালে ন্যাশন অব ইসলামের সাবেক নেতা এলিজাহ মুহাম্মদের পুত্র ইমাম ওয়ারিস উদ্দিন মুহাম্মদের উদ্যোগে মসজিদটিকে মূলধারার ইসলামী মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়। ইমাম মুহাম্মদ এখানে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করেন এবং মসজিদে নামাজ আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেন।পিবিএ/এফএস