পিবিএ: দেশজুড়ে আরো ৫-৬ দিন থাকবে তীব্র শীত ।
দেশজুড়ে আবারো শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। কুয়াশায় ঢেকে আছে রাজধানী। দেশের বেশিরভাগ জায়গাও কুয়াশাচ্ছন্ন। কনকনের ঠাণ্ডার সঙ্গে হাড়ে কাঁপন ধরানো উত্তুরে হাওয়ায় জনজীবন বেশ বিপর্যস্ত। এই শৈত্যপ্রবাহ আরো অন্তত ৫-৬ দিন থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর অবশ্য চলতি জানুয়ারি মাসে তিনটি শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছিল। সেই পূর্বাভাস মেনেই যেন আজ ১১ জানুয়ারি, শনিবার থেকে শুরু হলো দ্বিতীয় শৈত্যপ্রবাহ।
আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক এ বিষয়ে বলেন, ‘আজ থেকে শুরু হওয়া এ শৈত্যপ্রবাহ পাঁচ–ছয় দিন পর্যন্ত চলতে পারে। এতে তাপমাত্রা কমে শীত অনুভূত বেশি হবে।’
তবে ডিসেম্বরের শৈত্যপ্রবাহে সারাদেশ যেমন স্থবির হয়ে পড়েছিল এবার তেমনটি হবে না উল্লেখ করে তিনি জানান, শৈত্যপ্রবাহটি একেক সময় একেক স্থানে বেশি বিস্তার লাভ করতে পারে।
এদিকে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আকাশে মেঘ না থাকায় বিভিন্ন জেলায় সূর্যের আলো পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফলে শীত কম অনুভূত হতে পারে সেসব অঞ্চলে। মূলত উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শীতের অনুভূতি বেশি থাকতে পারে। শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলেই শীতের প্রভাব বেশি দেখা দেবে।
এ কয়দিনে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমার শঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দিনের তাপমাত্রাও সামান্য কমতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, রাজধানী ও আশপাশের অঞ্চলে আজ শনিবার বৃষ্টির আশঙ্কা নেই। সকালের দিকে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা বিরাজ করছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। ফলে সূর্যের দেখা মিলছে দেরিতে। এর প্রভাবে শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি।
গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সাধারণত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। আর তাপমাত্রা ৬-৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
গত তিন দিন ধরে কেবল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শৈত্যপ্রবাহ ছিল। তবে আজ সেই শৈত্যপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা উত্তরাঞ্চলে। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ ছাপিয়ে এ শীতলতা ছড়িয়েছে যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। গত তিন দিনের তুলনায় আজ সেসব অঞ্চলে শীতের প্রকোপ আরো বেড়েছে।
এদিকে গতকাল বিকেলে উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সংবাদ পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি ঈশ্বরদীতে ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
পিবিএ/জেআই