পিবিএ ডেস্ক: কাশ্মীরের পুলওয়ামায় হামলায় ৪০ জনের বেশি নিরাপত্তা রক্ষী নিহত হওয়ার পর ‘লাইন অব কন্ট্রোল’ অতিক্রম করে পাকিস্তানের সীমানার ভেতরে হামলা করেছে বলে দাবি করছে ভারত।
এই হামলায় পাকিস্তানের ভেতরে বহু মানুষ নিহত হয়েছে বলে ভারত দাবি করলেও হামলা ঠেকিয়ে দিয়েছে বলে দাবি পাকিস্তানের। ওই ঘটনার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে চলছে উত্তেজনা।
মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৩টার দিকে ১২টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান পাকিস্তান সীমান্তে জইশ-ই-মহম্মদের (জেইএম) প্রশিক্ষণ ক্যাম্প লক্ষ্য করে এক হাজার কেজি বোমাবর্ষণ করে ভারতীয় বিমান বাহিনী।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর এ হামলার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার সশস্ত্র বাহিনী ও সাধারণ নাগরিককে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনী ও সাধারণ নাগরিককে সব ধরনের ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ইমরান খান এ কথা বলেন। এর আগে ভারতের হামলার পর সকালে জরুরি বৈঠকের ডাক দেন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী। দেশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা-প্রতিনিধিদের নিয়ে তিনি বৈঠকে বসে চলমান কাশ্মীর সংকট নিয়ে আলোচনা করেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রের বরাতে বলছে।
আর এরপরই ইমরান খান দেশের সশস্ত্র বাহিনী এবং নাগরিকদের যেকোনো ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকা দরকার বলে উল্লেখ করেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে পাকিস্তানের বেলাকোট শহরে জঙ্গি ক্যাম্পে হামলা চালায় ভারত। এরপর সকালে দু’দেশের পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি দাবি করা হয়। দিল্লি থেকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় কেশব গোখালে বলেন, হামলায় বহু সংখ্যক জঙ্গি নিহত হয়েছে। তবে সাধারণ নাগরিকের কোনো ক্ষতি হয়নি।
আর পাকিস্তান দাবি করছে, ভারতীয় বিমানবাহিনী আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। তাছাড়া হামলাতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এমনকি কোনো ক্ষতিও হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় হামলায় দেশটির বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) ৪৪ সদস্য নিহত হন। এরপরই হামলার দায় স্বীকার করে পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদ। এ নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলছে উত্তেজনা।
পিবিএ/বিডিএল/হক