দেশের ৪২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যে দেশের ৪২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে, দু’বেলা দু’মুঠো খেতে পারছে না অথচ সে দেশের প্রধানমন্ত্রী আবারও জোর করে ক্ষমতায় থাকার জন্য নাচতে নাচতে ভারত চলে গেলেন। যখন সীমান্তে মানুষ গুলি খেয়ে মরছে, উনি তখন নাচতেছেন।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইতি প্রকাশনা আয়োজিত হারুন অর রশিদের লেখা ‘রাজনীতি পূর্ব পাকিস্তান ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশের ইতিহাস নিয়ে চক্রান্ত চলছে, বইটিতে নির্মোহ ইতিহাস স্থান পেয়েছে। এ দেশের মানুষ যুগ যুগ ধরে বঞ্চিত হয়েছে তাদের অধিকার থেকে। বাংলাদেশ বর্তমানে বই লেখা বা সত্যি কথা বলা খুবই কঠিন কাজ, বর্তমান ক্ষমতাসীনরা চায় না সত্যি প্রকাশিত হোক।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রথম ভোট ডাকাতি শুরু করে। তখন থেকেই শুরু হয় এ দেশে অন্যায়-অনিয়ম। পরে তারা তাদের রচিত সংবিধান সংশোধন করে নিবর্তনমূলক আইন তৈরি করে দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। একজন ব্যক্তিকে আজীবন রাষ্ট্রপতি রাখতে হবে? সেদিন আওয়ামী লীগ সবকিছু ধ্বংস করেছে। আমাদের দুর্ভাগ্য দেশ স্বাধীন করলেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি, রাজনীতিকে একটা কাঠামো দিতে পারিনি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করতো না, তারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। ব্যক্তিখাতকে পাবলিক করে সেইখাতকে দুর্নীতি আখড়ায় পরিণত করেছে।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক থাকুক আমরাও চাই, কিন্তু আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক, আপনারাই (আওয়ামী লীগ) বলছেন।

বাংলাদেশে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়ে গেছে, এ দেশে পুলিশ কথা বলার আগেই গুলি করছে, এ করে বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখা যাবে না, আজ দেশের মানুষ এসবের বিরোধী রুখে দাঁড়িয়েছে, গণতন্ত্র উদ্ধারে চলমান আন্দোলনে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান তিনি।

আরও পড়ুন...