পিবিএ ডেস্ক: দেশে প্রায় ১৫ লাখ শিশু দৃষ্টি স্বল্পতায় ভুগছে, যা চিকিৎসার মাধ্যমে প্রতিরোধযাগ্য বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
বিশ্ব দৃষ্টি দিবসে ঢাকার আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে এক আলোচনা সভায় একথা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে সাত লাখ ৫০ হাজার মানুষ অন্ধত্বের শিকার, যার শতকরা ৮০ ভাগই ছানিজনিত অন্ধত্ব।
বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ‘সবার জন্য চক্ষু সেবা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এবারের দৃষ্টি দিবস পালিত হয়।
ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর প্রিভেনশন অব ব্লাইন্ডনেস (আইএপিবি) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যৌথভাবে প্রতিরোধযোগ্য এই অন্ধত্ব নিবারণের জন্য প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্ব দৃষ্টি দিবস পালন করে থাকে।
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল আই কেয়ারের লাইন ডিরেক্টর ও জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা।
অধ্যাপক গোলাম মোস্তাফা বলেন, বর্তমান বিশ্বে ৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষ অন্ধত্বের শিকার। ২৫ কোটি ৩০ লাখ মানুষ দৃষ্টি স্বল্পতায় ভুগছেন, যার মধ্যে শতকরা ৫৫ শতাংশ নারী।
তিনি বলেন, দৃষ্টি স্বল্পতায় আক্রান্ত মানুষের মধ্যে শতকরা ৮৯ শতাংশই স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর এবং এবং অন্ধত্ব ও দৃষ্টি স্বল্পতার কারণগুলোর মধ্যে শতকরা ৮০ শতাংশই প্রতিরোধযোগ্য।
অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, অন্ধত্বের গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল নানা ধরনের দৃষ্টি ত্রুটি, গ্লুকোমা, আঘাত জনিত চক্ষুরোগ, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি ও শিশু অন্ধত্ব।
তিনি বলেন, ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার মানুষ ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি রোগে আক্রান্ত হয়ে দৃষ্টি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন।
পিবিএ/ইকে