টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেলো কিলিয়ান এমবাপেদের। আর্জেন্টিনার কাছে টাইব্রেকারে হেরে শিরোপা খোয়াতে হয়েছে ফ্রান্সকে। তবুও দেশে ফেরার পর ফরাসী ফুটবলাররা পেয়েছেন বীরোচিত মর্যাদা। সোমবার রাতে দেশে ফেরার পর প্যারিসে লক্ষ মানুষ তাদেরকে বীরের বেশেই বরণ করে নিয়েছে।
কাতার থেকে বিশেষ বিমানে প্যারিসে ফিরেছেন ফ্রান্স ফুটবলাররা। লিওনেল মেসিদের বিশ্বকাপ নিয়ে দেশে ফেরার আগে প্যারিস পৌঁছে যান এমবাপে-হুগো লরিসরা। ফাইনালে হারলেও ফ্রান্সের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে তারা নায়কের সম্মান পাচ্ছেন।
তবে এ সময় অধিকাংশ ফুটবলারের মুখে হাসি থাকলেও এমবাপেসহ কয়েক জনের মুখ ছিল শুকনো। সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে হাত নাড়লেও মুখে হাসি ছিল না এমবাপের। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ৫৬ বছর পর ফাইনালে দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করার গৌরব অর্জন করেছেন তিনি। গোল করেছেন টাইব্রেকারেও। তবু দলকে জেতাতে পারেননি ‘গোল্ডেন বুট’ জয়ী ২৪ বছরের এই স্ট্রাইকার।
আজই (মঙ্গলবার) ২৪ বছর পূর্ণ করলেন এমবাপে। বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফিরতে পারলে জন্মদিনটা আরও সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারতেন নিশ্চিত।
ফুটবলারদের স্বাগত জানাতে প্যারিস বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন কয়েক হাজার সমর্থক। অনেকের হাতে ছিল জাতীয় দলের পতাকা। প্রিয় ফুটবলারদের জার্সি পরেও গিয়েছিলেন অনেকে। তবে বিমান থেকে নামার সময় দেখা গেছে এমবাপের মুখ থমথমে। পরেও তার মুখে হাসি দেখা যায়নি। বিমান থেকে প্রথম নামেন অধিনায়ক লরিস এবং কোচ দিদিয়ের দেশম। তাদের পর একে একে নামেন ফুটবলার এবং অন্যরা।
বিমানবন্দর থেকে পুরো দলকে নিয়ে যাওয়া হয় প্যারিসের বিখ্যাত প্লেস দে লা কনকর্ডের কাছে একটি হোটেলে। সেখানে ভিড় করেছিলেন লক্ষাধিক সমর্থক। চিৎকার করে তারা সমর্থন জানাচ্ছিলেন ফুটবলারদের। তাদেরকে পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছিলেন।
ফুটবলাররা হোটেলের বারান্দায় এসে সমর্থকদের দিকে হাত নাড়েন। জনতার উৎসাহে কয়েকজন ফুটবলারকে হাসতে দেখা গেলেও এমবাপেকে বিধ্বস্তই দেখাচ্ছিল। ফাইনালের হারের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। হারের পর মাঠেই তাকে সান্ত্বনা দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ।