দোয়া দ্রুত কবুল হওয়ার ৫টি উপযুক্ত সময়

পিবিএ ডেস্ক: একাধিক হাদিস থেকে বোঝা যায়, দিন ও রাতের কিছু বিশেষ সময় দোয়া কবুল করা হয়। দোয়া করার সময় বেশ কয়েকটি বিষয়ের প্রতি গভীরভাবে খেয়াল রাখা দরকার। ৫টি সোনালী সময়, যখন দোয়া কবুলের জন্য আসমানের দুয়ারসমূহ খুলে দেয়া হয়।

জোহরের আগমুহূর্তে: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- নিশ্চয়ই আসমানের দুয়ারসমূহ খুলে দেয়া হয় সূর্য মধ্যাকাশ থেকে পশ্চিমাকাশের দিকে হেলে পড়ার সময়। এরপর জোহরের সালাত পর্যন্ত তা আর বন্ধ হয় না। আমি চাই সেই সময়ে আমার কোন ভালো কাজ ওপরে উঠুক। (সহিহুল জামি: ১৫৩২)

আজানের সময়: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- যখন আজান দেয়া হয়, তখন আসমানের দুয়ার খুলে দেয়া হয় এবং দোয়া কবুল করা হয়। (সহিহুত ত্বারগিব: ২৬০)

এক নামাজের পর অন্য নামাজের জন্য অপেক্ষার সময়: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- শুভ সংবাদ! তোমাদের রব আসমানের দুয়ার খুলে দিয়েছেন এবং তোমাদের নিয়ে ফেরেশতাদের সাথে গর্ব করে বলছেন- ‘আমার বান্দারা আমার আরোপিত ফরজ (নামাজ) আদায়ের পর আরেক ফরজের জন্য অপেক্ষা করছে।’ (ইবনে মাজা: ৮০১)

রাতের শেষার্ধে: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- রাতের শেষার্ধ শুরু হলে একজন ঘোষক ঘোষণা দিতে থাকেন, কেউ কি কোন আর্জি পেশ করার আছো? তার আর্জি গৃহীত হবে। কারো চাওয়ার কিছু আছে? তা মঞ্জুর হবে। আছে কোন বিপদগ্রস্থ? তার বিপদ দুর করা হবে। তখন পেশাদার ব্যভিচারিনী ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজী করা লোক ব্যতিত কোন মুসলিমের দোয়াই ব্যর্থ হয় না। (সহিহুত ত্বারগিব: ৭৮৬)

এই দোয়া পাঠের সময়: একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে নামাজ পড়ছিলাম। সে সময় সমাগত লোকদের মাঝে হতে এক লোক বলল, ‘আল্লাহু আকবার কাবিরা, ওয়াল হামদু লিল্লাহি কাছিরা ওয়া সুবহানাল্লাহি বুকরাতান ওয়া আসিলা’ (অর্থাৎ, আল্লাহ মহান, অতি মহান, আল্লাহ তাআলার জন্য অনেক অনেক প্রশংসা এবং সকাল-সন্ধ্যা আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি।)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- এই কথা কে বলেছে? উপস্থিত লোকদের মাঝে এক লোক বলল, আমি হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ ‘এ দোয়ায় আমি খুব আশ্চর্য হয়েছি। এ বাক্যগুলোর জন্য আকাশের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়েছে।’

ইবনে উমার রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে আমি এ কথা শোনার পর থেকে কখনো তা পাঠ করা পরিহার করিনি। (মুসলিম, তিরমিজি: ৩৯৪১)

পিবিএ/এমএসএম

আরও পড়ুন...