দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মানুষের দুর্গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে : বাংলাদেশ ন্যাপ

পিবিএ,ঢাকা: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মানুষের দুর্গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, বাস্তবতা হচ্ছে বাজারে দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া লাফিয়েই চলেছে। লাগাম টেনে ধরার কোনো ব্যবস্থা নেই। চাল-ডালের মূল্য উর্ধ্বমুখী। এছাড়া পেঁয়াজের মূল্য এখনও আকাশচুম্বী। কিছুদিন আগেও যে পেঁয়াজ ছিল ৩৫-৪৫ টাকা কেজি তা এখও ৭৫-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধির জন্য নানা অজুহাত তৈরী করা হচ্ছে। কিন্তু পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদও রয়েছে। তাই অতিরিক্ত দাম বাড়ার বিষয়টি কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত হতে পারে না। এমনিতেই দ্রব্যমূল্য নাগালের বাইরে, তার ওপর পেঁয়াজের দাম বাড়ায় যেন বাজ পড়ছে ভোক্তাদের মাথায়। প্রশ্ন হচ্ছে এগুলো দেখার কি কেউ নেই? বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন। তারা বলেন, দ্রব্যমূল্য নাগালের বাইরে চলে যাওয়াটা কোনো সুখের বিষয় নয়। একশ্রেণির মুনাফালোভী ব্যবসায়ীর লাভ ও লোভের কারণেই যে পেঁয়াজের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। যে কোনো উসিলায় দাম বৃদ্ধির করার ক্ষেত্রে আইন-কানুন নীতি-নৈতিকতার কোনো বালাই নেই দেশে।

নেতৃদ্বয় বলেন, ভোক্তাদের পকেট কাটা হবে আর সরকার শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবে এটা হতে পারে না। বাজারে নজরদারি বাড়ানো এবং সিন্ডিকেটধারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। অবিলম্বে পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম জনসাধারণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে যার যা করণীয় রয়েছে সেটি করতে হবে। এজন্য সরকার-ব্যবসায়ী সব পক্ষকেই এগিয়ে আসতে হবে। ত্যাগ করতে হবে মুনাফালোভী মানসিকতা। নেতৃদ্বয় আরো বলেন, কৃষকের কষ্টের ফসল নিয়ে প্রায়ই মহলবিশেষ নয়ছয় করে পার পেয়ে যাওয়ায় এর খেসারত দিচ্ছে ক্রেতাসাধারণ। ক্রেতাদের কষ্ট ওই জায়গায়, যে পণ্য রাজধানী ঢাকাসহ কোথাও বিন্দুমাত্র ঘাটতি নেই, কতিপয় ব্যক্তি সবার সামনে দিয়ে প্রকাশ্যে মানুষ ঠকানোর কাজটি করে কী করে বার বার পার পেয়ে যাচ্ছে। যাদের রহস্যজনক নীরবতায় তারা বেপরোয়া ও পারা পেয়ে যাচ্ছে, তাদের জেগেজেগে ঘুমানো কবে ভাঙবে? তারা বলেন, মুনাফালোভী এই মানসিকতা কিছুতেই কাম্য হতে পারে না। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা সরকারের হাতে খুব একটা নেই। তারপরও টিসিবিকে কার্যকর করে একটি প্যারালাল সরবরাহ ব্যবস্থা চালু রেখে পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা যায়। পেঁয়াজের দাম আকাশচুম্বী হওয়ার পরও কী এক্ষেত্রে কারো কোনো দায়-দায়িত্ব নেই? তারা বলেন, অসাধু ও ফটকা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠিন আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। বর্তমান বাজার পরিবেশের জন্য সাপ্তাহিক ভ্রাম্যমাণ আদালত বাজার তদারকি করতে হবে। কেউ যেন হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যকে প্রভাবিত করতে না পারে সে বিষয়টি নজরদারিতে রাখতে হবে। সকলের সামগ্রিক চেষ্টা ও আন্তরিকতার মাধ্যমে এ ভোগান্তিকর দুর্দশা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে।

পিবিএ/বাখ

আরও পড়ুন...