দ্রুততম মানবের রেকর্ডে ইসমাইল ও মানবী শিরিন

fast-speed-man

পিবিএ,ডেস্ক: বাংলাদেশ নৌবাহিনীর রেকর্ডময় দিন ছিল বৃহস্পতিবার। সকালে শটপুটে মো. ইব্রাহিম হোসেন রেকর্ড গড়ে স্বর্ণপদক জেতার পর বিকেলে আরও দুটি রেকর্ড গড়ে দ্রুততম মানব হন একই সংস্থার মোহাম্মদ ইসমাইল ও দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তার।

ইসমাইল ১০.২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়ে স্বর্ণ জেতেন। অন্যদিকে টানা আটবার (সামার ও জাতীয় অ্যাথলেটিক্স মিট) দ্রুততম মানবী হয়ে অনন্য এক রেকর্ডের মালিক হন শিরিন। তিনি সময় নেন ১১.৮০ সেকেন্ড। দুটিই হ্যান্ডটাইমিংয়ে।

দ্রুততম মানবের মুকুট হারিয়েছেন নৌবাহিনীর মেজবাহ আহমেদ। ২০১৮ সালের সামার অ্যাথলেটিক্সে বিকেএসপির হাসান মিয়ার কাছে তিনি মুকুট হারিয়েছিলেন। জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে এসে ফের নৌবাহিনীকে মুকুট এনে দেন ইসমাইল।

নৌবাহিনীর ট্রায়ালে প্রথম কিংবা দ্বিতীয় হতে পারেননি দেশের অন্যতম সেরা স্প্রিন্টার মেজবাহ। তাই এবার ১০০ মিটার স্প্রিন্টে অংশ নেয়া হয়নি তার। তবে মেজবাহ অংশ না নিলেও দ্রুততম মানব নৌবাহিনী থেকেই হয়েছেন। নৌবাহিনীর ইসমাইল মূলত লংজাম্পার। জাতীয় ও সামার অ্যাথলেটিক্সে তার কয়েকটি স্বর্ণ রয়েছে লংজাম্পে। লংজাম্প থেকে হঠাৎ স্প্রিন্টে কেন?

ইসমাইল বলেন, ‘কিতাব আলী স্যার বলেছিলেন, ১০০ মিটারে সেরা হওয়ার চেয়ে মজার আর কিছুই নেই। তাই আমি সেই মজাটাই নিলাম।’ তিনি যোগ করেন, ‘সবার আলোচনা স্প্রিন্ট ঘিরেই। লংজাম্প তেমন আকর্ষণ করে না সবাইকে। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম দৌড়াব।’ লংজাম্পে আট স্বর্ণের সমান স্প্রিন্টের এক স্বর্ণ। এমনটি মনে করেন তিনি।

ইসমাইলের কথায়, ‘আপনারা সবাই আসছেন প্রতিক্রিয়া নিতে। আগে আসতেন দু’একজন। আমাদের স্যারদেরও লক্ষ্য থাকে ১০০ মিটার স্প্রিন্টের স্বর্ণ। সত্যি বলতে লংজাম্পের সব স্বর্ণের সমান স্প্রিন্টের এক স্বর্ণ।’

নিজের দৌড় শুরু সম্পর্কে ইসমাইল বলেন, ‘শুরুতে আমি কিছুটা পিছিয়ে ছিলাম। পরে শরীর সোজা করার পর দৌড়ে এগিয়ে যাই।’ সামনে এসএ গেমস। এসএ গেমসে বাংলাদেশ স্প্রিন্টে স্বর্ণ পায় না অনেকদিন। এ নিয়ে ইসমাইলের কথা, ‘অ্যাথলেটিক্সে প্রশিক্ষণ, প্রশিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।’ লংজাম্প ও স্প্রিন্ট এক তালে চালিয়ে যেতে চান তিনি।

অন্যদিকে টানা আটবার দ্রুততম মানবী হওয়ার রেকর্ড গড়েন নৌবাহিনীর শিরিন আক্তার। তার কথায়, ‘গেল বছর সামার অ্যাথলেটিক্সে আমি লাভলী আপার রেকর্ড ছুঁয়েছিলাম। এবার উনাকে পেছনে ফেললাম। খুব ভালো লাগছে রেকর্ড গড়ে।’

এর আগে ফিরোজা দশবার এবং নাজমুন নাহার বিউটিও একই সংখ্যকবার দ্রুততম মানবী হয়েছিলেন। কিন্তু সেটা একটানা ছিল না। যে রেকর্ডের গর্বিত মালিক হলেন শিরিন। তার কথায়, ‘এখন আমার চোখ সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে। দেশকে অন্তত একটি পদক এনে দিতে চাই।’

তিনি যোগ করেন, ‘গেল দু’মাস আমি বিকেএসপিতে আবদুল্লা হেল বাকি স্যারের কাছে অনুশীলন করেছি। তাতেই এই সাফল্য। আসলে অনুশীলনের বিকল্প নেই।’

পিবিএ/এফএস

আরও পড়ুন...