ধনাঢ্য পরিবারের তরুণ-তরুণীদের মাদক পৌঁছে দিতো তারা

রাজধানীর গুলশান ও পল্টন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিত্যনতুন মাদকদ্রব্যসহ তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রো (উত্তর)।

গ্রেফতাররা হলেন- কাজী মারম্নফুল ইসলাম ওরফে রাজ (২৬), মো. ইসমাইল বেপারী (৩০) ও সাকিব নঈম (২৭)।

এসময় তাদের কাছ থেকে ট্রেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনলযুক্ত কুশ, ক্যানাবিনলযুক্ত কান্ডি, তরল ক্যানাবিনয়েড ও ম্যাজিক মাশরুম উদ্ধার করা হয়েছে।

ডিএনসি জানায়, গ্রেফতাররা থাইল্যান্ড ও কানাডা থেকে এসব মাদকদ্রব্য আনে। অত্যাধুনিক অ্যাপসভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপের সদস্যদের কাছে সুকৌশলে এসব মাদক পৌঁছে দেওয়া হয়। গুলশান ও বনানীতে বসবাসরত ধনাঢ্য পরিবারের তরুণ-তরুণীরা এসব মাদক সেবন করেন।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে এসব তথ্য জানান ডিএনসির ঢাকা মেট্রো. কার্যালয়ের (উত্তর) উপপরিচালক শামীম আহম্মেদ।

তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরকে মাদকমুক্ত করার লক্ষ্যে উজ্জীবিত ডিএনসি ঢাকা মেট্রো (উত্তর) কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাহুল সেনের নেতৃত্বে রমনা সার্কেলের এনফোর্সমেন্ট টিম গুলশান ও পল্টন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে নিত্যনতুন মাদকসহ উচ্চবিত্ত শ্রেণির তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়।

এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনলযুক্ত কুশ- ১.০৪০ কেজি, টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনলযুক্ত ক্যান্ডি-৬০ গ্রাম, তরল ক্যানাবিনয়েড-৩৮ গ্রাম, ম্যাজিক মাশরুম- ১৮ গ্রাম, বিভিন্ন ব্রান্ডের বিদেশি মদ- ৮.৫ লিটার ও মাদক বিক্রির নগদ ১ লাখ ৫ হাজার টাকা।

গ্রেফতার তিনজন জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, থাইল্যান্ড ও কানাডা থেকে এসব মাদকদ্রব্য নিয়ে আসেন তারা। অত্যাধুনিক অ্যাপসভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপের সদস্যদের কাছে সুকৌশলে এসব মাদক পৌঁছে দেওয়া হয়।

ডিএনসির উপপরিচালক শামীম আহম্মেদ আরও বলেন, গুলশান ও বনানীসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকার ধনাঢ্য তরুণ-তরুণী এসব মাদক ক্রয় ও সেবন করেন।

আরও পড়ুন...