গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সদরঘাটের সোয়ারীঘাট এলাকায় আব্দুল্লাহ আল নূর তুষার (৮) নামের এক শিশু অপহরণের শিকার হয়। ভিকটিমের মায়ের সাথে অপহরণকারী বাদল ওরফে হৃদয় (৩০) নামের এক তরুণের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাধে ঘটনার দিন ভিকটিমকে নিয়ে ভিকটিমের মা সদরঘাটের সোয়ারীঘাট এলাকায় বাদল ওরফে হৃদয় এর সাথে দেখা করতে যায়।
পরবর্তীতে অপহরণকারী বাদল ওরফে হৃদয় অপহৃত ভিকটিম তুষারকে চিপস কিনে দেয়ার কথা বলে বর্ণিত স্থান হতে কৌশলে অপহরণ করে। ভিকটিমের মা সদরঘাটের সোয়ারীঘাট ও এর আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে না পেয়ে ডিএমপি ঢাকার কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন।
পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ডিএমপি ঢাকার কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এ একটি মামলা দায়ের করেন; যার মামলা নং -০১/১৯৪, তারিখ ০২ অক্টোবর ২০২৪।
পরবর্তীতে গত ০২ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ভিকটিমের মাকে ফোন করে মুক্তিপণ ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) টাকা দাবী করে। মুক্তিপণের টাকা না দিলে ভিকটিমকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে।
পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অপহরণকারীদের ৬ হাজার টাকা প্রদান করে। অপহরণকারী বাদল ওরফে হৃদয় মুক্তিপণ আদায় করতে ভিকটিমকে বিভিন্ন সময়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে বলে জানা যায়।
অতঃপর ভিকটিমের পিতা র্যাব-২ এর নিকট ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য লিখিত আবেদন করেন। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে অপহৃত ভিকটিম’কে দ্রুততম সময়ের মধ্যে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
গত রাতে র্যাব-২ ও ৮ এর যৌথ আভিযানিক দল রাজধানীর সদরঘাট হতে সুপরিকল্পিতভাবে অপহৃত ১ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল তুষার’কে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানাধীন আমরাগাছি হোগলপাতি নামক প্রত্যন্ত এক এলাকা হতে ভিকটিম তুষারকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ঘটনাস্থলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা ভিকটিমকে রেখে পালিয়ে যায়।
উক্ত অপহরণের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অপহৃত শিশু ভিকটিম তুষারকে তার অভিভাবকের নিকট হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।