ধর্মান্ধতা ও মৌলবাদ পরিত্যাগ করা অপরিহার্য: জবি উপাচার্য

পিবিএ,জবি: সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিস্তার লাভ করেছে ধর্মান্ধতা ও মৌলবাদ, যা পরিত্যাগ করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।
মঙ্গরবার (২ এপ্রিল) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বাংলাদেশ মানবাধিকার ও পরিবেশ আন্দোলন এর উদ্যোগে ‘ধর্মনিরপেক্ষতার ভবিষ্যৎ প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, “ধর্ম নিরপেক্ষ বলতে মূলত বোঝানো হয়ে থাকে যে, রাষ্ট্র কোন ধর্মকেই পক্ষপাত করে না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় বহুবাচনিক সমাজ হবে, সবাই মিলেমিশে থাকবে, কিন্তু দেশ স্বাধীনের পর ৭৫’ পরবর্তী সময় থেকে শুরু করে ৯৬’ পর্যন্ত এই বিশ বছর বাংলাদেশকে ধর্মীয় জঙ্গিবাদের তীব্র পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পাকিস্তানি ধারায় দেশ পরিচালনায় উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল চরমে, যার রেশ বর্তমান সময়েও আমাদের বহন করতে হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, “নিজ ধর্মের প্রতি বিশ্বাসের সাথে সাথে অন্যের ধর্মের বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে, তাহলেই সমাজ থেকে হানাহানি, জঙ্গিবাদ দূর হবে। ধর্ম নিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব উপলব্ধি ঠিক নয়, প্রকৃতিগতভাবেই এটার নিয়ন্ত্রণ হয়। শ্রেষ্ঠত্বের দাবি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে নতুবা সংঘর্ষ, অশান্তি চলতে থাকবেই।”

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী এবং প্রধান আলোচক হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এস. এম. মাসুম বিল্লাহ বক্তব্য প্রদান করেন।
সেমিনারে ‘ধর্ম নিরপেক্ষতার ভবিষ্যৎ প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার ও পরিবেশ আন্দোলন-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ব্যারিস্টার ফারজানা বেগম এবং ‘ধর্ম নিরপেক্ষতা মতবাদ প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিতু কুন্ডু। এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পিবিএ/টিপিএস/হক

আরও পড়ুন...