পিবিএ,টাঙ্গাইল: কালিহাতীতে পঞ্চম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রী ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যাক্তিকে বাচাঁতে সালিশে চার লাখ টাকা জরিমানা করে মাতাব্বরা। জরিমানার টাকা মাতাব্বররা পকেটে নিয়ে ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীকে গ্রাম ছাড়া করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে পারখী ইউনিয়নের পূর্ববাসিন্দা গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালী রাম প্রসাদ (২২) একই গ্রামের হতদরিদ্র স্কুল ছাত্রীকে জোর পুর্বক রাস্তা থেকে নিয়ে ফুফাতো বোনের ঘরে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে ২/৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। ঘটনাটি ধামা চাপা দিতে ফুফাতো বোন রত্না ওই স্কুল ছাত্রীর গর্ভপাত নষ্ট করতে কৌশলে ওষুধ সেবন করায়। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কদ্দুস আলীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার রাতে মীমাংসা করার জন্য সাদেকের বাড়িতে সালিশ হয়। সালিশে ইউপি সদস্যর ছেলে সাইফুল ইসলাম ও ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি খসরু মিয়া ধর্ষক রাম প্রসাদকে আইড়াই লাখ ও বাচ্চা নষ্ট করার দায়ে রতত্না কে দেড় লাখ টাকা মোট চার লাখ টাকা জরিমানা করে। জরিমানার টাকা তাদের পকেটে নিয়ে ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীকে গ্রামছাড়া করে অন্যত্র স্থানে রাখার সিদ্ধান্ত দেন।
ধর্ষিতা পরিবারকে সাইফুল ও খসরু বলে, ঘটনা ধামাচাপা হলে এই টাকা তোমরা পাবে।
ইউপি সদস্য কদ্দুস ও তার ছেলে সাইফুল এবং ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি খসরু বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশে সালিশ করেছি। টাকা বিষয়ে অস্বীকার করেন। তবে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করে।
এ বিষয়ে পারখী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিয়াকত তালুকদার জানান, ঘটনাটি শুনেছি, মীমাংসা করার জন্য বলা হয়েছে। তবে টাকার বিষয়ে আমার জানা নেই। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত রাম প্রসাদ ও রত্না। তাদের বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি।
তবে রাম প্রসাদের মামি জানান, স্থানীয় মাতাব্বররা মীমাংসা করে দিয়েছে।
কালিহাতী থানার ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেছে। ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
পিবিএ/টিএ/হক