ধর্ষণের বিচার জুতাপেটা

পিবিএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রােেমর সীতাকু-ে এক শিশু ধর্ষনকারীকে জুতাপেটা করে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মোঃ শাকিল (২৮) নামের এ যুবক ছয় বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুকে ধর্ষণ করে।

স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল সালিশের নামে উক্ত যুবককে জুতাপেটা করার পর ধর্ষনের শিকার শিশুটির মায়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করিয়ে ছেড়ে দেয়। ধর্ষক শাকিল সীতাকু-ের কুমিরা মাস্টারপাড়া এলাকার সর্দার নুরুল আলমের ছেলে। তবে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নয় বলে জানিয়েছে সীতাকুন্ড থানা পুলিশ।

গ্রাম্য সালিশে ধর্ষণের অভিযুক্ত শাকিলকে জুতাপেটা করছে এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। রোববার ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ধর্ষণকারীকে এক ব্যক্তি জুতাপেটা করছেন। এসময় ধর্ষিতা শিশুটির মা’র কাছ থেকে ক্ষমা চাইতেও বলা হয়।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাতে শাকিল ওই এলাকার ছয় বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করার সময় স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে জুতাপেটা করে।

এসময় কয়েকজন লোক ধর্ষণকারীর পক্ষ নিয়ে পরবর্তীতে বিচার হবে বলে তাকে ছেড়ে দেয়। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা শনিবার (৬ জুলাই) শালিসি বৈঠক করে ধর্ষণকারীর বাবা সমাজ সর্দার নুরুল আলমকে সর্দার পদ থেকে অব্যাহতি দেন। একইসঙ্গে আগামী তিনদিনের মধ্যে তার ছেলেকে হাজির করার নির্দেশও দেওয়া হয়।

এব্যাপারে সীতাকু-ের কুমিরা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার কামাল উদ্দিন পিবিএকে বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শিশুটির পরিবার। ফলে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সীতাকু- মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শামীম শেখ বলেন, শিশু ধর্ষণের বিষয়টি জানা নেই। কোনো অভিযোগও পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষণকারীকে জুতাপেটার একটি ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ধর্ষণকারীকে আটকের জোর দাবি উঠে। এবং যারা তাকে জুতাপেটার পর ছেড়ে দিয়েছে তাদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি তোলা হয়।

পিবিএ /মুছা/হক

আরও পড়ুন...