পিবিএ,মানিকগঞ্জ: কৃষি মন্ত্রনালয়ের সচিব মো: নাসিরুজ্জামান বলেছেন, ধানের নতুন জাত ব্রি ৮১ এবং ব্রি ৮৯ উদ্ভাবিত হওয়ায় ফলন অনেক গুন বেড়ে যাবে। এতে কৃষক যেমন লাভবান হবেন, তেমনি দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ন হবে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে সারাদেশের কৃষকদের মাঝে নতুন জাতের এই ব্রি৮১ ও ব্রি৮৯ ধানের বীজ পৌছে দেওয়া হবে। সোমবার (১৩ মে)দুপুরে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের রাজস্ব খাতভুক্ত প্রদর্শনীর মাঠ দিবসে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটবাউর গ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কৃষকদের এসব কথা বলেন।
সচিব বলেন, ধানের নতুন কোন জাত কৃষকদের কাছে পুরোপুরি পৌছাতে প্রায় ১৫বছর লেগে যায়। কিন্তু এবারের নতুন জাত ব্রি৮১ এবং ব্রি৮৯ কৃষকদের মাঝে তিন বছরের মধ্যেই পৌছানো সম্ভব হবে। তার জন্য প্রতিটি জেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কৃষি বীজ কেনার জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হবে। সেই টাকায় টাকা দিয়ে নতুন ব্রি৮১ এবং ব্রি৮৯ জাতের ধান বীজ কিনে উপজেলায় সংরক্ষনের ব্যবস্থা করা হবে।
পরের বছর বিনামুল্যে কৃষকদের মাঝে ওই বীজ বিতরণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, এবার নতুন জাতের ব্রি৮১ এবং ব্রি৮৯ জাতের প্রদর্শনী দেখেছি। যাতে বিঘা প্রতি ৪০মন পর্যন্ত ধান উৎপাদন হবে।তাতে বীজের ঘাটতি হবে না। আগামীতে সব কৃষকদের এই বীজ সরবরাহ করা হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরজমিন উইং পরিচালক ড. আবদুল মুঈদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি কৃষি মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউশনের মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবির, জেলা প্রশাসক এস, এম ফেরদৌস, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন সরদার, কৃষক ইউনুস আলী ও জহির উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।এসময় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তা ও ভাটবাউর গ্রামের কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউশনের মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবির তার বক্তব্যে বলেন, সরকার কৃষকদের নিয়মিতভাবে কৃষি ভুর্তুকি দিচ্ছে। বীজ, সার, ফসল কর্তনে মেশিন কেনাসহ দুর্যোগকালীন সময়ে কৃষকদের ভুতুর্কি দিয়ে সহায়তা করছে।কারন কৃষিকে টিকিয়ে রাখতে না পারলে সব ধরনের উন্নয়ন স্থবির হয়ে পড়বে। সকল অর্জনিই সাময়িক হবে। তাই কৃষকদের নতুন জাত দেওয়ার পাশাপাশি ভাল ব্যবস্থাপনা দিতে পারলে কৃষকরা বেশী করে এই জাত চাষাবাদ করবে। ফলনও বেশী হবে।
তিনি বলেন, কৃষকরা এখন সাধারনত ব্রি২৮ ও ব্রি২৯ চাষাবাদ করছে। এতে বিঘা প্রতি ফলন হচ্ছে ২২ থেকে ২৫ মন। কিন্তু ব্রি ৮১ এবং ব্রি ৮৯ চাষাবাদের বিঘা প্রতি ফলন হবে প্রায় ৪০মন। এই নতুন জাতের ধান চাষাবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতেই এই মাঠ দিবস পালিত হয়।
এর আগে ভাটবাউর গ্রামে কৃষি সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা নতুনজাতের ব্রি ৮১ ও ব্রি৮৯ ধানের প্রদশর্নী পরিদর্শন করেন। এসময় ফলন ভাল হওয়ায় কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান সন্তোষ প্রকাশ করেন।
পিবিএ/এমআইএম/আরআই