পিবেএ, চুয়াডাঙ্গাঃ খাঁন এগ্রিকালচার পোডাষ্ট লিঃ বি-৫৮ জাতের ধান ও পিকে-৩৩৩ ভূট্রাবীজ ক্রয় করে এলাকার কয়েক শ কৃষকের এখন মাথায় হাত। চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ বাজারের কিষাণ বীজ ও কীটনাশক সেন্টারের মালিক ফখর উদ্দিনের নিকট থেকে ওই বীজ কিনে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কৃষকদের ক্ষতিপূরণের দাবীর মুখে বিপাকে পড়েছেন ফখর উদ্দিন। বাধ্য হয়ে তিনি ওই কোম্পানির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য উপজেলা কৃষি অফিসারের হস্থক্ষেপ কামনা করে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।জানা গেছে, জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলাসহ আশপাশের গ্রামের ১৮০-১৯০ জন কৃষক খাঁন এগ্রিকালচার লিঃ এর ব্রিধান-৫৮ ও একই কোম্পানির পিকে-৩৩৩ ভূট্রার বীজ ক্রয় করে জমিতে চাষাবাদ করেন। ওই বীজে বিঘাপ্রতি ৭.৮ মনের বেশি ধান হয়নি।
অন্যদিকে, যেখানে ৮২ থেকে ৪৮ মন কোম্পানির বীজ বপন করে মাত্র ৬-৭ মন ফলন পেয়েছেন কৃষকেরা। তারাই মুন্সিগঞ্জ বাজারের কিষান বীজ ও কীটনাশক সেন্টারের মালিক ফখর উদ্দিনের নিকট থেকে ওই নিন্মমানের ভেজাল বীজ সংগ্রহ করেছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বীজ দোকানদারের নিকট এ ক্ষতিপূরণের দাবী জানিয়ে আসছেন বেশ কয়েক ধরে।
কিষান বীজ ও কীটনাশক সেন্টারের স্বত্তাধিকারী ফখর উদ্দিন জানান, গত ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে ঢাকার খাঁন এগ্রিকালচার প্রোডাষ্ট লিঃ অফিসারের জোরাজুরিতে এক মেট্রিকটন ব্রি-ধান-৫৮ বীজ ও একই বছর ৪ ডিসেম্বর ৪শ ৮০ কেজি ভূট্রাবীজ পিকে ক্রয় করি।
দামুড়হুদা উপজেলা দশমী পাড়ার শাহীন আক্তার জানান, ফখর উদ্দিনের দোকানের প্যাডে বীজে কোন ক্ষতি হলে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ ও রিটেইলার পর্যায়ের টাকা দায়িত্ব গ্রহন করবেন মর্মে লিখিত দেন। তিনি একজন ডিলার হিসেবে ওই ধান ও ভূট্রা বীজ বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন।
এরপর ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন কৃষকদের কাছে এ বীজ বিক্রি করেছেন। তার হিসাব মতে ১৩৫ থেকে ১৮০ একর জমিতে কৃষকেরা খাঁন এগ্রিকালচার লিমিটেডের বি-ধান-৫৮ ও ভূট্রা বীজ ব্যবহার করে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা ক্ষতির পরিমাণ ৮০-৯০ লক্ষ টাকার উপরে।
এই ক্ষতির পরিমাণ দেখার জন্য ওই কোম্পানির ৩ জন অফিসার মাঠ পর্যায়ে এসে পরিদর্শন করে চাষিদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করিননি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ক্ষতিপূরণ আদায়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ গ্রহনের দাবি জানানো হয়েছে উপজেলা কৃষি অফিসারের নিকট।
পিবিএ/এসকে/আরআই