পিবিএ,ধামইরহাট (নওগাঁ): নওগাঁর ধামইরহাটে বেখেয়ালী আবহাওয়ায় কখনো বাড়ছে ভাপসা গরম আবার কখনো টানা বৃষ্টিতে মিলছে স্বস্তি। আর আবহাওয়ার এই এমন পরিস্থিতির সম্মুখে কমবেশি প্রতিটি বাড়িতে চলছে জ্বর,সর্দি,কাশিসহ মাথা ব্যাথার প্রকোপ। ফলে কমিউনিটি ক্লিনিকসহ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে বাড়ছে এমন রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা। এছাড়াও বিশেষ করে ডাক্তারদের পারসোনাল চেম্বারগুলোতে ও মিলছে এধরনের রোগীদের উপচে পড়া ভীড়। বিশেষ করে ১ থেকে শুরু করে ১০-১২ বছরের শিশু ও বয়স্ক মানুষদের মধ্যে এমন রোগের প্রভাব পড়ছে বেশি। অন্যদিকে এমন আবহাওয়ায় ফার্মেসীগুলোতে এসকল রোগের প্রকোপ পড়ায় ওষূধের দাম ও চড়া দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের বলে জানা গেছে। একদিকে মহামারি কোভিড করোনা ভাইরাস অন্য দিকে জ্বর,সর্দি,কাশি,মাথা ব্যাথার লক্ষণ নিয়ে অনেকে শরীরের মধ্যে এমন রোগ নিয়ে ভয় নিয়ে ডাক্তারদের পরামর্শ ছাড়া নিজেরা ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করছেন। ফলে সাধারনত এসব রোগ নির্মুলের ওষুধগুলোর উপরে পড়তেছে চাপ ফলে বাড়ছে দাম এমনটা ভাবছে এলাকার সচেতন মহল।
এবিষয়ে উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের অটোচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে এত রোদের মধ্যে গাড়ি চালিয়েছি কখনো সকালে প্রচন্ড রোদ আবার বিকেলে ঝুম বৃষ্টিতে এভাবে শরীরে কয়েকদিন থেকে জ্বর শর্দি নিয়ে ঘুরছি। পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক ওষুধ সেবনে ও কোন উপকার মিলছে না তার।
ভেড়ম গ্রামের কৃষক আক্কাস মিয়া বলেন, আমার শরীরে গত তিনদিন ধরে জ্বর, সর্দি মাথাব্যাথাসহ পুরু শরীরে ব্যাথা শুরু হয়। আমি নিজে বাড়িতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ওষুধ খেয়ে এখন অনেকটা সুস্থ হলেও আমার ছোট মেয়েটা বর্তমানে জ্বর সর্দির সাথে লড়ছে।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে এমন রোগ বেশি লক্ষ করা যায় তবে এসবে ভয় না পেয়ে ঘরে বসে মোবাইল ফোনে অথবা হাসপাতালে এসে ডাক্তারদের পরামর্শ নেয়া উচিত।
পিবিএ/রেজুয়ান আলম/এসডি