কারিমুল হাসান,ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনটে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করায় বাদীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ জেমস মল্লিকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে। এবিষয়ে বুধবার রাতে মামলার বাদীর স্ত্রী শিরিনা খাতুন বাদী হয়ে ওই আ’লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৫ জনের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় এ হত্যাচেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মামলা ও অভিযোগসূত্রে জানাযায়, মথুরাপুর ইউনিয়নের অলোয়া গ্রামের মৃত মোকবেল হোসেনের ছেলে ইউনিয়ন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ আশাদুল ইসলাম ও তার লোকজনের সঙ্গে মথুরাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ জেমস মল্লিকের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছে। গত ১৬ই ডিসেম্বর শহীদ মিনারে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় আ’লীগ নেতা জেমস মল্লিকের পক্ষে আল আমিন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে বিএনপি নেতা আশাদুল ইসলাম ও তার লোকজনকে আসামী করে ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে মঙ্গলবার রাতে বিএনপি নেতা আশাদুল ইসলাম বাদী হয়ে মথুরাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ জেমস মল্লিক সহ ২২ জনের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় পাল্টা একটি মামলা দায়ের করেন।
এবিষয়ে মামলার বাদী আশাদুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান জেমস মল্লিকের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাত ১১টায় ধুনট থানায় মামলা রেকর্ডের পর পরই তার লোকজন আমার লিজকৃত জলমহালের পাহারা ঘরে আমাকে হত্যার উদ্দ্যেশে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। ওই সময় আমি নৌকা নিয়ে জলাশয়ের মাঝে অবস্থান করায় কোন মতে প্রাণে বেঁচে যাই। এরপর হামলাকারীরা আমার পাহারা ঘরে রক্ষিত দেড় লাখ টাকার মাছের খাদ্য ও ২ লাখ টাকা মূল্যের এ্যারোটার মেশিন লুট করে নিয়ে যায়। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। মামলা দেয়েরর পরবর্তি এঘটনায় বুধবার রাতে আমার স্ত্রী শিরিনা খাতুন বাদী হয়ে জেমস মল্লিক সহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৫ জনের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় হত্যা একটি চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করে।
এবিষয়ে মথুরাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ জেমস মল্লিক বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, সেটা আজ জানতে পেরেছি। আমি তো এলাকাতেই থাকতে পারছিনা না। তাই তাকে হত্যার চেষ্টা করার প্রশ্নই ওঠে না। এসব রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র চলছে। এসব ঘটনার সঙ্গে আমার কোন সম্পৃত্ততা নেই।
এবিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুল আলম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় পাল্টা-পাল্টি মামলা দায়ের হয়েছে। তবে মামলা দায়েরের পর বাদীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।