ধুনটে তিনদিন পর নিখোঁজ গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

কারিমুল হাসান,ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনটে ৩দিন পর আলোচিত নিখোঁজ গৃহবধূ আয়েশা খাতুন (২০) এর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর দুপুরে উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের শৈলমারী গ্রামের ঝাঁঝড় ঘাট এলাকা থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় একই ইউনিয়নের বিলচাপড়ী গ্রামের আবু বক্করের স্ত্রী আয়েশা খাতুন পার্শ্ববর্তী বাঙ্গালি নদীতে গোসল করতে যায়। দীর্ঘ সময় বাড়িতে ফিরে না আসায় আবু বক্কর তার স্ত্রীর খোঁজে নদীতে যায়। সেখানে পায়ের স্যান্ডেল দেখতে পেলেও স্ত্রী আয়েশা খাতুনকে দেখতে না পেয়ে স্থানীয়দের খবর দেয়। পরে স্থানীয়রা নদীতে খোঁজাখুজি করে কোথাও না পেয়ে সরকারি জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করে। খবর পেয়ে বেলা ১১টায় ধুনট ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালায়। উদ্ধার অভিযানে সফল না হওয়ায় ফায়ার সার্ভিস দল ফিরে যায়। পরের দিন মঙ্গলবার ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন রফিকুল ইসলাম নামের এক কবিরাজকে ডেকে আনেন। যে স্থান থেকে নিখোঁজ হয়েছে ঠিক সেই স্থানে কবিরাজ রফিকুল ইসলাম আসন পেতে, নদীতে ৭টি মুরগির ডিম, এক লিটার গরুর দুধ ও নদীর তীরে গর্ত করে গোবর পুতে রাখেন। পরে এক মহিলার শরীরে জ্বীন হাজির করে। জ্বীন জনসম্মুখে ওই মহিলার কন্ঠে জবাব দেয় সোমবার সন্ধ্যার একটু আগে আয়েশা খাতুনের মৃতদেহ ফেরত দেবে। কবিরাজ এমন তথ্য সবাইকে জানিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। সন্ধ্যার আগে শত শত দর্শনার্থী নদীর তীরে ভীড় করলেও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ আয়েশার।

বৃহস্পতিবার এলাঙ্গী ইউনিয়নের শৈলমারী গ্রামের ঝাঁঝড় ঘাট এলাকায় নদীতে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে গৃহবধূ আয়েশার পরিবার ও থানা পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুল আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন...