ধুনটে নারিকেল গাছের চারা মজুত করছেন ব্যবসায়ীরা

কারিমুল হাসান,ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনটে হাইব্রীড বা ছোট জাতের নারিকেল গাছের চারা কিনে ঠকেনি এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। নামে বেনামে বিভিন্ন নার্সারি থেকে ভিয়েতনামী নারিকেলের নামে চারা কিনে ঠকেছে অনেকে। ৩ বছর আগে চারা রোপন করার পর নারিকেল তো দুরের কথা গাছটিও ফল দানের জন্য উপযুক্ত হয়নি অনেকে। গত ৫ থেকে ৭ বছরে হাইব্রীড বা ছোট জাত বা ভিয়েতনামের চাহিদার গল্প শুনতে শুনতে কমে গেছে দেশী জাতের নারিকেল গাছের চাহিদা। অধিকাংশ স্থানে হাইব্রীড নারিকেল গাছে ফল না আসায় আবারও বাড়তে শুরু করেছে দেশী জাতের নারিকেলের চাহিদা। অনেকে নারিকেল কিনে বন্ধ ঘরে চারা তৈরীর জন্য প্রস্তুত করছে।

শুধু খাবার হিসেবে নয়, পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে নারিকেল গাছকে পছন্দ করেন অনেকে। আগামী মৌসুমে বিক্রির জন্য চারা তৈরী করতে মজুদ করে রাখা হয়েছে দেশি জাতের নারিকেল। ধুনট উপজেলার কান্তনগর বাজারের একটি গুদাম ঘরে এমনটাই চিত্র উঠে আসে। শুধু বিক্রির জন্যই শতশত নারিকেল জমিয়ে রাখা হয়েছে। চারা বিক্রি করে যেমনটা লাভবান হবে ব্যবসায়ী তেমনি পরিবেশ হবে সুন্দর ও দর্শনীয়। একটি সড়ক বা বাড়ীর পাশে পুকুরের স্পারে সাঁড়ি সাঁড়ি নারিকেল গাছ কার না ভালো লাগে।

একটি বিক্রয় উযুক্ত চারা বিক্রি হয় ৪শ থেকে ৭শ টাকা পর্যন্ত। তবে চারার ধরণ ও জাত ভেদে হাজার টাকাতেও বিক্রি হয় অনেক স্থানে। কথায় আছে সখের তোলা ১৬ আনা। বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ভালো জাতের চারা পেলে দামে কিবা আসে যায়। খাবার হিসেবে যেমন ডাব বা নারিকেলের ব্যবহার রয়েছে তেমনি সৌন্দর্য বর্ধনেও এর নানামুখী ব্যবহার রয়েছে। তাছাড়া উৎকৃষ্ট নারিকেলের তৈল তৈরীতে বানিজ্যিক চাহিদা রয়েছে দেশ জুড়ে। ধুনট উপজেলার স্থানীয় বাজার গুলোতে ভ্রাম্যমাণ ডাব বিক্রি করে জিবিকা নির্বাহ করছে অনেকে। ডাব ব্যবসায়ীরা প্রতিটা ডাব বিক্রি করছেন ৮০ টাকা থেকে ১০০টাকা। সব মিলিয়ে নারিকেলের গুরুত্ব রয়েছে সব খানে সবসময়।

আরও পড়ুন...