সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ইউনুস আলী ফাইম,নওগাঁ: নওগাঁর মহাদেবপুর প্রেসক্লাবের সদস্য, দৈনিক স্বাধীন সংবাদ, দৈনিক দেশের কন্ঠ, তরঙ্গ নিউজ ২৪. কম পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সাংবাদিক ফোরাম নওগাঁ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সুইট হোসেনের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে নওগাঁর সর্বস্তরের সাংবাদিকেরা। রোববার (১৯ জুলাই) দুপুরে নওগাঁ কোর্ট চত্ত্বর প্রাঙ্গনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক।বাংলাদেশ সম্মিলিত সাংবাদিক ফোরাম নওগাঁ জেলা শাখা ও নওগাঁ জেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিক বৃন্দ মানববন্ধনের আয়োজন করেন।

ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদ হাসান সিদ্দিকী স্বপন, সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেন মুরাদ, জেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদুন নবী বেলাল, মহাদেবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি (দৈনিক ভোরের কাগজ)গৌতম কুমার মহন্ত, ডিবিসি নিউজ টেলিভিশনের প্রতিনিধি এ.কে. সাজু, জাতীয় দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার সাংবাদিক ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সাংবাদিক ফোরাম নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি এ,বি,এম হাবিবুর রহমান হাবিব, সময় টিভির নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি এম আর রকি,প্রতিদিনের সংবাদ ও জেটিভি নিউজের সাংবাদিক রিফাত হোসাইন সবুজ,দৈনিক যুগান্তর জেলা প্রতিনিধি আব্বাস আলী,গনমানুষের দৈনিক প্রথম সংবাদ পত্রিকার নিউজ এডিটর মোঃ রুবেল হোসেন, পিবিএ এজেন্সির জেলা প্রতিনিধি ইউনুস আলী ফাইম, দৈনিক নতুন দিন জেলা প্রতিনিধি রশিদুল আলম রশিদ সহ নওগাঁ জেলার সবকটি উপজেলার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।বক্তারা বলেন, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার নওহাটা মোড় থেকে গত ৮ই জুলাই বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৮টায় জাতীয় দৈনিক স্বাধীন সংবাদ, দেশের কণ্ঠ ও তরঙ্গ নিউজ ২৪.কম এর সাংবাদিক সুইটকে মহাদেবপুর থানা ও নওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সাংবাদিক সুইট কে চ্যালেঞ্জ করে বলে, তোমার কাছে অবৈধ কিছু আছে এরপর তার দেহ তল্লাশি করে কিছু না পেয়ে পাশে থাকা সুইটের মটরসাইকেল তল্লাশি করে সিটের নিচে সামান্য ফাঁকা স্থান থেকে ৪৪ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে তাকে আটক দেখানো হয়।

যা স্থানীয় বাসিন্দা ও সাংবাদিকদের মনেকে প্রশ্নবৃদ্ধ করে। এ ছাড়া সাংবাদিক সুইট হোসেনের সাথে তার প্রতিবেশি এক দোকানদারের সাথে দীর্ঘদিন শত্রুতা চলে আসছিল এবং নওহাটা ফাঁড়ি পুলিশের এক সদস্য কন্সটেবল সারোয়ারের ফেসবুক আই,ডি হ্যাকের বিষয়ে ওই দোকানদারসহ পুলিশ সদস্য সুইট হোসেনকে দোষারুপ করেছিলো এবং শাসিয়ে ছিলো।

এ ছাড়া স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির সংবাদ প্রকাশ করার ফলে ওই যুবলীগ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিলো। আর এই তিন জনের যোগ সাজসেই সুইট হোসেনকে ফাঁসানো হয়েছে বলে সাংবাদিকরা ধারনা করেন। বক্তারা আরও বলেন সুইট হোসনকে জন সম্মুখে আটক করার পরও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে দৌড়ে পালানোর সময় তাকে ধাওয়া করে আটক করা হয়েছে। এটি সম্পুর্ন মিথ্যা ভাবে সাজানো হয়েছে মামলাটি।

সকল সাংবাদিকেরা নিঃশর্ত মুক্তির দাবী করে বলেন, একটি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষী ব্যাক্তিদের আইনের আওতায় আনা হোক। আর তা না হলে, ভবিষৎ এ আরো কঠোরত্বম আন্দোলনের যাওয়ার কথা বলেন, সকল সাংবাদিক গনেরা।আর তাই এ ঘটনায় সুস্পষ্ট তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর মাধ্যমে তদন্ত দাবী করেন সাংবাদিকরা।

পিবিএ/এমএসএম

আরও পড়ুন...