এস এম শরিফুল ইসলাম,নড়াইল: নড়াইলের কালিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পিরোলী গ্রামের গৃহবধূ খাদিজা বেগম হত্যা মামলার আসামী পেড়লী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য মুসলিমা বেগম (৪০)-কে গ্রেফতার করেছে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোর রাতে উপজেলার চাঁচুড়ি এলাকা থেকে মুসলিমা বেগমকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী মুসলিমা বেগম উপজেলার পিরোলী গ্রামের গরু ব্যবসায়ী মঈনুল ফকিরের স্ত্রী।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,কালিয়া উপজেলার পেড়লী ইউপির পিরোলী গ্রামের রোমিও শিকদারের স্ত্রী খাদিজা বেগম তাদের প্রতিবেশী জুবেল শিকদারের সঙ্গে তার পরকীয়া ছিল। এঘটনা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে কলহের এক পর্যায়ে রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুই সন্তানের জননী খাদিজা বেগম প্রেমিক জুবেল শিকদারের বাড়ি গিয়ে ওঠে। সেখানে অবস্থানকালে পরদিন সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) জুবেলের বড় ভাই জাহিদুল শিকদার খাদিজাকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে খাদিজা গুরুতর আহত হলে জুবেলের পরিবারের লোকজন তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে খাদিজা বেগম মারা যান।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে খাদিজার বাবার বাড়ির লোকজন যশোরের অভয়নগর উপজেলার শুভরাড়া গ্রামে নিয়ে যাওয়ায় পর ঘটনাটি জানাজানি হয়। ওইদিন রাতেই নিহত খাদিজা বেগমের বাবা সংরক্ষিত ইউপি সদস্য মুসলিমা বেগমসহ ৬ জনকে আসামি করে কালিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাশিদুল ইসলাম শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সংরক্ষিত ইউপি সদস্য মুসলিমা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।