নড়াইলে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩০, আটক ১৫

এস এম শরিফুল ইসলাম,নড়াইল: নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ফরিদ মোল্যা (৫০) নামে একজন নিহত হয়েছে। নিহত ফরিদ মোল্যা কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত সুরত মোল্যার ছেলে।

গতকাল শুক্রবার (১১এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদ মোল্যা কে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মারা যান। এসময় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্বার করে চিকিৎসার জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতদের মধ্যে বশির মুন্সির অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের মিলন মোল্যা ও আফতাব মোল্যার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ইতোপূর্বে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে দু’পক্ষের মধ্যে। তবে থানায় উভয় পক্ষের একাধিক মামলাও রয়েছে। ঈদের দিন থেকে গ্রামটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। নিহত ফরিদ মোল্যা (৫০) আফতাব মোল্যা গ্রুফের সমর্থক ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকালে মিলন মোল্যা পক্ষের সানোয়ার রহমান নড়াইল আদালত থেকে হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তাকে একা পেয়ে আফতাব মোল্যার লোকজন মারপিট করে আহত করেছে। এঘটনার জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় কাঞ্চনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মিলন মোল্যা পক্ষের লোকজন আফতাব মোল্যার বাড়িতে হামলা করে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘটনা ব্যাপি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে স্কুল মাঠে। এসময় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে।

আফতাব মোল্যা পক্ষের আহতরা হলেন করিম মুন্সি (৪৯),ফরিদ মোল্যা (৫০), হুসাইন শেখ (১৮), আশরাফ মোল্যা (৫০), বশির মুন্সি (৪৫), করিম মুন্সী (৩৭) ও জালাল মুন্সি (৪৭),নাহিদ মোল্যা (২৫) করিম মোল্যা (১৬) সহিদ মুন্সি(৪০)। মিলন মোল্যা পক্ষের আহতরা হলেন, তৌহিদ মোল্যা (৫০), আলমিস শেখ (৩৫) নিরব মোল্যা (১২), হাসিব মোল্যা (১৫), কিবরিয়া শেখ (২৮), ওসমান মোল্যা (১৫), কামাল কাজী (৪০), তরিক শেখ (২৪), জাকারিয়া শেখ (২৫) ও দিদার শেখ (১৮),হুমায়ন কাজী (৩৫),ওহাব কাজী (৪৫),পিয়ার মোল্যা (৩৪)। ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে গ্রেফতার করে কালিয়া থানায় হন্তান্তর করে।

কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাশিদুল ইসলাম বলেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় আইনুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন...

preload imagepreload image