পিবিএ,ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৈরি পোশাক শিল্পের ব্যবসায়ীদেরকে বিভিন্ন দেশের চাহিদার কথা মাথায় রেখে নতুন নতুন নকশায় পোশাকে বৈচিত্র্য আনতে এবং নতুন বাজার খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন।বুধবার রাজধানীর উত্তরায় নবনির্মিত বিজিএমইএ কমপ্লেক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহবান জানান। নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বিজিএমইএ কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, ‘এটা আমার অনুরোধ যে আপনারা নতুন বাজার খুঁজে বের করবেন এবং নতুন তৈরি পোশাক পণ্য উৎপাদন করবেন।’
দেশের পোশাক ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সদরদপ্তর হিসেবে উত্তরার ১৭ নম্বর সেক্টরের ষষ্ঠ অ্যাভিনিউতে লেকের পাশে ১১০ কাঠা জমির ওপর এ বহুতল কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হচ্ছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে হাতিরঝিল লেকের ওপর থাকা বিজিএমইএ ভবনটি ভেঙে ফেলতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকায় সংগঠনটির এ নতুন ঠিকানা তৈরি করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন দেশের ক্রেতাদের নকশা, রঙ ও কাপড়ের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের পণ্য উৎপাদন করতে হবে।
এ বিষয়ে তিনি জানান, বাংলাদেশি পণ্যের নতুন বাজার খুঁজে বের করতে বিদেশে থাকা বাংলাদেশ মিশনগুলোর প্রধানদের ঢাকায় ডেকে এনে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক পণ্যের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ রপ্তানিকারক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ শিল্পে বিপুল সংখ্যক নারী শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন, যা তৃণমূল মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে।
নারী শ্রমিকরা অর্থ উপার্জন করছেন, যা তারা গ্রামের বাড়ি পাঠাচ্ছেন। ফলে গ্রামীণ অর্থনীত শক্তিশালী হচ্ছে, বলেন তিনি।
পোশাক শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত দশ বছরে তাদের ন্যূনতম মজুরি মাত্র ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে বেড়ে ৮ হাজার টাকা হয়েছে।
হাতিরঝিলের বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সোনারগাঁ হোটেলের পাশে নির্মাণের জন্য তিনি নিজে ১৯৯৬-২০০১ সালে তার সরকারের সময়ে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু তার অনুরোধ উপেক্ষা করে এটি লেকের মুখে নির্মাণ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার তৈরি পোশাক খাতের বৃহত্তর স্বার্থে উত্তরাতে বিজিএমইএকে বিরাট প্লট বরাদ্দ দিয়েছে। দুটি টাওয়ারে ১৩ তলা ভিত্তি থাকা নতুন দৃষ্টিনন্দন ভবনের পাঁচ তলা নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, বিজিএমইএ কমপ্লেক্সের খুব ভালো পরিবেশ ও প্রদর্শন কেন্দ্রে বিভিন্ন পণ্য দেখে বিদেশি ক্রেতারা আস্থা পাবেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসানের সঞ্চালনায় ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম, আবদুস সালাম মুর্শেদী ও আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী গণভবনে উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও অন্য ব্যবসায়ী নেতারা উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্স থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন এবং বক্তব্য রাখেন।
পিবিএ/এএইচ