নবম ওয়েজ বোর্ডের গেজেট প্রকাশের দাবি বিএফইউজে ও ডিইউজের

পিবিএ,ঢাকা: অবিলম্বে নবম ওয়েজ বোর্ডের সুপারিশ গেজেট আকারে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন- বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে’র নেতৃবৃন্দ। মন্ত্রিসভার আগামী সোমবারের সাপ্তাহিক বৈঠকেই সাংবাদিকদের জন্য সুপারিশকৃত নতুন বেতন কাঠামো অনুমোদন করে ৩০ আগস্টের মধ্যে গেজেটের মাধ্যমে কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। একই সঙ্গে ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে দৃঢ় ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তারা। বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী ও মহাসচিব এম আবদুল্লাহ এবং ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতারা বিভিন্ন গণমাধ্যমে নির্বিচারে সাংবাদিক ছাটাইয়ের খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ঢালাও ছাটাই বন্ধ এবং যেসব গণমাধ্যমে বেতন বকেয়া পড়েছে সেখানে বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধের জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আরও উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম বারের মত একতরফা ও দলকানা ওয়েজ বোর্ড গঠন করে সাংবাদিক সমাজের ন্যায়সংগত দাবি নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা ও জটিলতা সৃষ্টি করা হয়েছে। সব পক্ষের প্রতিনিধিত্ব না থাকায় সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব ওয়েজ বোর্ডর সুপারিশ চ্যালেঞ্জ করার খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিএফইউজে ও ডিইউজে গত চার বছর যাবত নবম ওয়েজ বোর্ডের মাধ্যমে সাংবাদিকদের নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রাম করছে। সাংবাদিক ইউনিয়ন বিভক্ত হওয়ার পরও এ যাবকালের প্রতিটি ওয়েজবোর্ডে দুই মতাদর্শের ইউনিয়ন থেকে প্রতিনিধি নিয়ে ওয়েজবোর্ড গঠন করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় আইন-কানুন, বিধি-বিধান এবং দীর্ঘ দিনের প্রচলিত ও অনুসৃত নীতি লংঘন করে সম্পূর্ণ এক তরফাভাবে সরকার সমর্থক সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি নিয়ে ওয়েজবোর্ড গঠন করেছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিক সমাজের বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনায় আমরা চাই কালবিলম্ব না করে নবম ওয়েজ বোর্ডের সুপারিশ অবিলম্বে কার্যকর করা হোক। কেবল গেজেট প্রকাশ করেই সরকার দায়িত্ব শেষ করবে না বলে আশা প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, নতুন বেতন কাঠামোর সত্যিকারের বাস্তবায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়িত্বও সরকারকে পালন করতে হবে। যারা ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন না দিয়ে ছলচাতুরি করবে তাদের সরকারি বিজ্ঞাপনসহ সকল সুযোগ সুবিধা বাতিল করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগ ও পরিতাপের সঙ্গে লক্ষ করছি যে কয়েকটি বড় সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠান থেকে বিনা নোটিশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এটা অন্যায় ও অনভিপ্রেত। অনেকে ন্যায্য পাওনা পর্যন্ত পাচ্ছেন না। ঢালাও চাকরিচ্যুতি বন্ধের দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, বেআইনী চাকরিচ্যুতির বিরুদ্ধে সাংবাদিক সমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে বাধ্য হবে।

পিবিএ/বাখ

আরও পড়ুন...