নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির আহ্বান রাষ্ট্রপতির

পিবিএ,ঢাকা: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধিতে জোরদার প্রচেষ্টা চালানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে শনিবার এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।

বৈশ্বিক মহামারীর মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস ২০২০’ পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদার প্রেক্ষাপটে জ্বালানি ব্যবহারে জনগণকে সাশ্রয়ী ও সচেতন করে তুলতে এ উদ্যোগ ইতিবাচক অবদান রাখবে।

হামিদ বলেন,অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হচ্ছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ। দেশের কৃষি, শিল্প, সেবাখাতসহ দৈনন্দিন জীবনে তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্পদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে সরকার জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার প্রদান করেছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ১৯৭৫ সালে ব্রিটিশ তেল কোম্পানি শেল অয়েলের নিকট হতে স্বল্প মূল্যে ৫টি গ্যাস ক্ষেত্রের মালিকানা রাষ্ট্রের অনুকূলে গ্রহণের উদ্যোগ নেন। এ সব গ্যাস ক্ষেত্রে উৎপাদিত প্রাকৃতিক গ্যাস ও উপজাত তেল আজ অবধি দেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।

তিনি বলেন, নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি যোগানের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সূচকের ঊর্ধ্বগতি নিশ্চিত হয়। সরকার দেশজ প্রাকৃতিক গ্যাস ও কয়লার উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে যথোপযুক্ত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।

আবদুল হামিদ বলেন, ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি সৌর শক্তিসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে সামুদ্রিক জোয়ার-ভাটার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানকে জোরদার প্রচেষ্টা চালানোর আহবান জানান তিনি।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...