নরসিংদীতে পাটকল শ্রমিকদের রেল সড়ক অবরোধ ও অগ্নিসংযোগ

খন্দকার শাহিন, পিবিএ, নরসিংদী: মুজুরী কমিশন বাস্তবায়ন ও বকেয়া বেতন পরিশোধ সহ ৯ দফা দাবী আদায়ের লক্ষে ৭২ ঘন্টা অবরোধের শেষ দিনে বিক্ষোভ মিছিল ও রেল সড়ক অবরোধ, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করে নরসিংদীর পাটকল শ্রমিকরা। অবরোধকারীরা কর্ণফুলী ও ঢাকাগামী আন্তনগর ট্রেনে লাঠিসোট ও ইট নিক্ষেপ করে হামলা চালিয়ে ট্রেন ভাংচুর করে। হামলায় এক ট্রেন চালককে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া হয়েছে ।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টায় বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল শ্রমিক লীগ, ইউ.ইম.সি পাটকল নরসিংদী শাখার কয়েক হাজার শ্রমিক তৃতীয় দিনের মত রেল সড়ক অবরোধ করে রাখে।

এসময় শ্রমিকরা নরসিংদী শহরের তরোয়া নামক স্থানে রেল লাইনে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়।এসময় শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে হামলার সিলেটগামী কর্ণফুলী ও ঢাকাগামী একটি আন্তনগর ট্রেন। এত ট্রেনের চালকের উপর হামলাসহ দুটি ট্রেনই ভাংচুর করে উত্তাল শ্রমিকরা। ট্রেন চালককে পুলিশ উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে পিবিএকে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

সকাল সাড়ে নয়টার ইউ.ইম.সি পাটকল নরসিংদী শাখা হতে কয়েক হাজার শ্রমিক সম্মেলিত হয়ে শহরের প্রধান প্রাধান সড়ক গুলোতে বিক্ষোভ করে। পরে বাসাইল শাপলা চত্তর হয়ে তরোয়া রেল গেইট (বাসাইল) এলাকায় তান্ডব চালায় শ্রমিকরা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুপুর সাড়ে ১২ পর্যন্ত অবরোদ্ধ ভংচুর সিলেটগামী কর্ণফুলি ও ঢাকাগামী একটি আন্তনগর ট্রেন দুটি উদ্ধারের কাজ করছে ফায়ার সর্ভিস ও রেল কর্তৃপক্ষ। এতে ঢাকা,সিলেট,চট্টগ্রামে ট্রেন চলাল বন্ধ রয়েছে ও চরম ভোগান্তিতে এবং আতঙ্কে রয়েছে রেলের যাত্রীরা। ঘটনাস্থল থেকে দুপুর ১২ টার দিকে পুলিশ,ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা শ্রমিকদের সড়িয়ে নেয়ার পর,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এসেছে বলে পিবিএকে জানান রেলকর্তৃপক্ষ।

গত মঙ্গলবার থেকে এ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিচ্ছেন নরসিংদী জুটমিল (পাটকল) শ্রমিক-কর্মচারী ও সিবিএ,নন-সিবিএ সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে কয়েক হাজার শ্রমিক।
শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের বকেয়া মুজুরী দিচ্ছে না পাটকল কর্তৃপক্ষ। তাই কোন উপায়া না পেয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, রেলপথ অবরোধ করে রাখেন শ্রমিকরা। যদি আগামী এক সাপ্তাহের ভিতর তাদের বেতন ভাতা পরিশোধ করা না হয়, তাহলে শ্রমিকরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষনা দিবে বলে জানান।

পিবিএ/এমএসএম

আরও পড়ুন...