শান্ত বণিক,পিবিএ নরসিংদী: দীর্ঘ দুই মাস ১২ দিন পর জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলার সভাপতি খায়রুল কবির খোকন। সোমবার দুপুরে নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা একটি মামলায় গত বছরের ২৯ নভেম্বর তিনি আত্মসমর্পন করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। খোকনের জামিনে মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর স্ত্রী মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিরীন সুলতানা।
খোকনের আইনজীবী ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি বিষ্ফোরক আইনে ও নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে নরসিংদী সদর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। ওই মামলায় বিএনপি ও তার সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের ২৭ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। সেখানে বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকনের নাম ছিল না।
কিন্তু খায়রুল কবির খোকন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নরসিংদী-১ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করার পর ২৫ নভেম্বর মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ২৭৩ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে। সেখানে জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকনকে অভিযুক্ত করা হয়। এ বিষয়টি জানতে পেরে ২৯ নভেম্বর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন তিনি।
শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর কারাগারে থাকা অবস্থায় নরসিংদী ও ঢাকায় নাশকতা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরো সাতটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এসব মামলায় বিভিন্ন সময় নরসিংদী ও ঢাকার আদালত এবং সর্বশেষ গত রবিবার উচ্চ আদালত থেকে একটি নাশকতার মামলায় জামিন নেন।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুরে নরসিংদী জেলা কারগার থেকে মুক্তি পান। এ বিষয়ে খায়রুল কবির খোকনের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন বলেন, শাহবাগ থানায় দায়ের করা নাশকতার একটি মামলায় গত রবিবার উচ্চ আদালত জামিন পান খায়রুল কবির খোকন। সেই জামিনের কাগজ সোমবার নরসিংদী কারাগারে আসলেই তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
পিবিএ/এসবি/জেডআই