পিবিএ,নরসিংদী: নরসিংদীর চরাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি গোষ্ঠির মধ্যে সংঘর্ষে গোলাগোলি, টেটা নিক্ষেপসহ ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলি ও টেটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে ৪ জন। সোমবার ভোরে নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালি ইউনিয়নের খোদাদিলা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের দুইজন গুলি ও দুইজন টেটাবিদ্ধ হয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্যকে কেন্দ্র করে আইজ্জার গোষ্ঠি ও ইছাগুরির গোষ্ঠির মধ্যে দ্বন্ধ চলে আসছিল। আইজ্জার গোষ্ঠির নেতৃত্বে আছেন জয়নাল আবেদীন সরকার ও ফাহিম সিদ্দিকী। অপরদিকে ইছাগুরির গোষ্ঠির নেতৃত্বে আছেন হাসেন মিয়া, সহিত মিয়া ও হালিম মিয়া। বেশ কয়েকদিন যাবৎ সংঘষের প্রস্তুতি চলছিল এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনাও বিরাজ করছিল। সোমবার ভোরে আইজ্জার গোষ্ঠি বিভিন্ন অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ইছাগুরি গোষ্ঠির উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগোলি ও টেটাযুদ্ধের বাধে।
এসময় আব্দুল হালিম মিয়ার পুত্র মাসুদ(৩০) ও ফুল কাজির পুত্র আল ইসলাম (২৮) গুলিবিদ্ধ হয় এবং মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র বাসেদ(৫৫)ও মঙ্গল মিয়া পুত্র সবুজ (২০) টেটাবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের অনেকেই পুলিশি গেপ্তার এড়ানোর জন্য সলিমগঞ্জ,বটতলিসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে এলাকা সুত্রে জানা যায়।সকাল ৮টায় দিকে নরসিংদী সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অবস্থা নিয়ন্ত্রনে আনে।
পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এদিকে আল ইসলাম অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সংঘর্ষের পর থেকে ইছাগুরি গোষ্ঠি এলাকা ছাড়া রয়েছে। এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে।
আইজ্জার গোষ্ঠির প্রধান জয়নাল আবেদীন সরকার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে, তিনি জানান, ঝগড়ার পক্ষে তারা নন। ইছাগুরি গোষ্ঠির ক্ষমতার দাপটে এলাকায় থাকাটায়ই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই মাঠে নামতে হল।
এদিকে ইছাগুরি গোষ্ঠির বেশ কয়েকজনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো: সৈয়দুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। তবে প্রস্তুতি চলছে বলে জানতে পেরেছি।
পিবিএ/বিএইচ