পিবিএ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এনআরসি আর নাগরিকত্ব আইনকে ব্যবহার করে আসামের মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ললিপপের মতো এই দুটি জিনিস তাঁদের সামনে হাজির করছেন তিনি।
আজ শুক্রবার (৫এপ্রিল) আসামের নির্বাচনী জনসভায় প্রদত্ত বক্তৃতায় এ অভিযোগ করেন তিনি । লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যের মোট ১৪ টি আসনের মধ্যে ৯টিতে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করতে আসামে যান মমতা। পশ্চিমবঙ্গের ৪২ টি আসনের জন্য প্রার্থী ঘোষণার সময় মমতা জানান আসাম থেকে শুরু করে আরও কয়েকটি রাজ্যে প্রার্থী দেবে তৃণমূল। এছাড়া এবার অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন মমতা।
এনআরসি বিতর্ককে হাতিয়ার করেই ভোটের ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছে জোড়া ফুল শিবির। সাংগঠনিক শক্তি তেমন না থাকলেও নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক হয়েছে তাকে সম্বল করেই ভালো ফলের আশা দেখছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক শিবির। সভা থেকে এই বিষয়কেই হাতিয়ার করেন মমতা। তিনি বলেন, “৪০ লাখ মানুষের নাম বাদ যাওয়ার পর আমরাই তাদের পাশে ছিলাম। অন্য কোনও দল তাদের পাশে থাকেনি কিন্তু আমরা ছিলাম। এটা শুধু হিন্দু মুসলমানের ব্যাপার নয়। ২২ লাখ মানুষের নাম বাদ হয়েছে। এর মধ্যে ২২ লাখ হিন্দু ছাড়া মুসলমান থেকে শুরু করে অন্য ধর্মের মানুষ আছেন।
তিনি বলেন, সিটিজেনশিপ বিল আরেকটা ললিপপ। এই দুটো দিয়েই মানুষকে বোকা বানাবার কাজ হচ্ছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের আগে যাঁরা এ দেশে এসছেন তাঁরাই শুধু নাগরিক। বাকিদের বিদেশি বানিয়ে ছাড়া হচ্ছে”। এদিকে এদিনের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে মমতা বলেন, পাঁচ বছর আগে নিজেকে চাওয়ালা বলে ভোট চাইলেন আর আজ হয়ে গেলেন চৌকিদার!
গত বছর এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া তালিকা থেকে আসামের চল্লিশ লক্ষ মানুষের নাম বাদ যায়। তাতে বাঙালির সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। এই ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলন আরও তীব্র করেন মমতা। তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল আসাম পৌঁছয়। কিন্তু তাদের শিলচর বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়। তা নিয়ে সংসদের দুই কক্ষেই সরব হন তৃণমূল সাংসদরা। নাগরিকত্ব আইনের সংশোধন পাস করানোর জন্য মরিয়া মনোভাব নিয়েছিল বিজেপিও। কিন্তু এখনও তা আটকে আছে।
সূত্র: পিটিআই, এনডিটিভি
পিবিএ/এএইচ