
কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীতে মাছ শিকার করে ফেরার পথে চারটি মাছ ধরার নৌকাসহ ১৯ বাংলাদেশি জেলে অপহৃত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও ট্রলার মালিক সমিতির অভিযোগ, এই অপহরণের সঙ্গে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সদস্যরা জড়িত। তাঁরা অস্ত্রের মুখে জেলেদের নিয়ে গেছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা ও বেলা ৩টায় পৃথক দুই সময়ে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকাল ১০টার দিকে প্রথমে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর থেকে দুটি নৌকাসহ ১০ জেলেকে অপহরণ করা হয়। বেলা তিনটার দিকে নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে আরও দুটি নৌকাসহ ৯ জেলে অপহরণের শিকার হন।
শাহপরীর দ্বীপ এলাকা থেকে অপহরণ হওয়া ১০ জেলের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন মো. কালা মিয়া (৩৭), মো. নুরুল আলম (৩৯), আবদুল রহমান (১৯), মো. আবুল কালাম আহমেদ (২৯), মো. লালু (১১), মো. কবির আহমেদ (৪৩), মোহাম্মদ ইউনুছ (২৩), নুরুল ইসলাম (৩৪), মো. লুৎফর রহমান (২৩) ও রহিম উল্লাহ (২১)। তাঁরা সবাই শাহপরীর দ্বীপ মাঝেরপাড়ার বাসিন্দা। তবে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে অপহরণ হওয়া জেলেদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।
সকালে অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহপরীর দ্বীপ মাঝেরপাড়া নৌঘাটের সাধারণ সম্পাদক আবদুর গফুর। তিনি বলেন, মিয়ানমারের আরাকান আর্মির সদস্যরা দুটি মাছ ধরার নৌকাসহ অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১০ জনকে নিয়ে গেছে। নৌকা দুটির মালিক মো. কালাইয়া ও জাফর আলম।
আর টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালিয়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল জলিল বেলা তিনটার দিকে হওয়া অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘ফেরার পথে কায়ুকখালিয়া ঘাটের মো. সালমান ও আলী জোহারের মালিকানাধীন মাছ ধরার দুটি ট্রলারসহ ৯ জেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয়েছে। আরাকান আর্মির সদস্যরা এতে জড়িত।
জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান বলেন, জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। বিজিবির সঙ্গে এ বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন। আরকান আর্মির সঙ্গে কথা বলে জেলেদের ফেরত আনার কাজ চলছে।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান বলেন, যেসব এলাকায় ঘটনাগুলো ঘটছে সেখানে কোস্টগার্ডের দায়িত্ব রয়েছে। মূল ঘটনা কী ছিল, তা বিজিবি খতিয়ে দেখছে।