পিবিএ, বেনাপোল: যশোরের ঝিকরগাছার নাভারণে গ্রাম্য শালিসের নামে দাবীকৃত টাকা না দেওয়ায় মারপিটে আহত হয়েছেন অন্তত ৬ জন। আহতরা হলেন নাভারণ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইসলামপুর গ্রামের ঢাকা পাড়ার জুলহাসের স্ত্রী রেহেনা বেগম, ছেলে রানা হোসেন (২৮) ও রনি হোসেন (২৫) এবং একই গ্রামের তাহেরের ছেলে ইলিয়াস (১৯), হিরার ছেলে রাকিব (২২), আজিম উল্লাহর ছেলে শাহিন (১৮)। আহতদের মধ্যে রনির অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা ও পুলিশ জানায়, গিয়াস উদ্দিনের ছেলে বাপ্পী (১৯) গত ১৯ তারিখ শুক্রবার ঝিকরগাছা থানায় একটি অভিযোগ করেন, ইসলামপুর গ্রামের তার চাচা রোস্তম মোল্লার ছেলে হাবিলকে (৩০) রানা ও রনি নেশাগ্রস্থ অবস্থায় মারধর করে। এঘটনার পরে কালু ও শহিদুল মিলে কৌশলে রানা ও রনিকে বলে তোদের নামে থানায় মামলা হয়েছে। টাকা-পয়সা দে আমরা মিটিয়ে দিব বলে চাপ দিতে থাকে।
এক পর্যায়ে সোমবার বিকাল ৫টার দিকে নাভারণ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে মুজিবর রহমান স্থানীয়ভাবে সালিশের আয়োজন করে। বিচারে ইউপি সদস্য মুজিবর রহমান হঠাৎ করে অভিযুক্তদের মারপিট শুরু করে। এতে রনি গুরুত্বর আহত হয়। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত রানাকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং অন্যান্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ইউপি সদস্য মুজিবর রহমান সবকিছু করেছে এবং সে এখন থানায় পাঠিয়েছে মামলা করার জন্য। ঝিকরগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমি অভিযােগ পেলে মেম্বরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। মেম্বর এটা করতে পারে না।
পিবিএ/এন/আরআই