নারায়নগঞ্জে নিখোঁজের ১০দিন পর ঝুট ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার; আটক ১

লাশ

পিবিএ,নারায়নগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার ফতুল্লার বক্তাবলী কানাই নগর এলাকার ঝুট ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরী (৫২) এর লাশ নিখোঁজের ১০দিন পর একটি ঝুটের গোডাউনের ভেতরে মাটির নীচ থেকে উদ্ধার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনার সাথে জরিত থাকায় ফয়সাল (২৭) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১০এপ্রিল) বিকাল ৪ টায় সরদর উপজেলার ফতুল্লার ভোলাইল সরকারী প্রাধমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার একটি মার্কেটের ঝুটের গোডাউনের ভেতরে মাটিতে পুতে রাখা অবস্থায় ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরীর লাশ উদ্ধার করেন পুলিশ।

মাটি খুদে লাশ উঠানো হচ্ছে।

নিহত ঝুট ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরী ফতুল্লার বক্তাবলী ৬নং ওয়ার্ডের কানাই নগর এলাকার মৃত শামসুল হুদা চৌধুরীর ছেলে। গ্রেফতারকৃত ফয়সাল স্থানীয় একই এলাকার মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে।

গ্রেফতারকৃত ফয়সাল জানান, নিহত সেলিম চৌধুরী নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার মোহাম্মদ আলী নিকট ২লাখ টাকা পাওনা ছিল। গত ৩১মার্চ দুপুর পাওনা টাকার দেওয়ার কথা বলে দুপুর ১২টার দিকে সেলিম চৌধুরীকে ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় ডেকে আনে। এ সময় মোহাম্মদ আলী ও তার পরিচিত অপর একজন লোহার রড দিয়ে সেলিম চৌধুরীকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে রাত ১০টার দিকে নিহত সেলিম চৌধুরীর লাশটি শরীরে চুন মাখিয়ে একটি বস্তার ভেতরে ঢুকিয়ে ঝুটের সাথে করে ওই গোডাউনের ভেতরে এনে সেখানে মাটিতে পুতে রাখে।

নিহতের স্বজনদের আহাজারি।

ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) আবেদিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পিবিএ,কে জানান, ঝুট ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরী গত ১০ দিন যাবত নিখোঁজ হওয়ার পর তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত ফয়সালের সন্ধান পাওয়া যায়। ১০ এপ্রিল বুধবার দুপুরে তার দেয়া তথ্য মতে ভোলাইল এলাকার একটি ঝুটের গোডাউনের ভেতরে মাটির নীচ থেকে সেলিম চৌধুরীর লাশটি উদ্ধার করতে সক্ষম হই। পাওয়ানাকৃত ২লাখ টাকা চাওয়ায় এই হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।

আটক যুবক ফয়সাল ।

উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ সকালে বাসা হতে ব্যবসার কাজের উদ্দেশ্যে তিনি বের হয়ে যান। ওইদিন বেলা ১টার দিকে সেলিম চৌধুরীর স্ত্রী রেখা মোবাইল ফোনে তার স্বামীর অবস্থান জানতে চাইলে সেলিম চৌধুরী জানিয়েছিলেন তিনি ফতুল্লার পঞ্চবটি মোড়ে ইস্টার্ন ব্যাংকে রয়েছেন। এরপর দুপুর ২টায় খাবার খাওয়ার জন্য ফোন করলে সেলিম চৌধুরীর ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। সেলিম চৌধুরীকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করেন তার স্ত্রী। এ ঘটনায় নিখোঁজ ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরীর স্ত্রী রেহেনা আক্তার রেখা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেছিলেন।

 

পিবিএ/পিএম/হক

আরও পড়ুন...