নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার জেল পলাতক আসামি গ্রেফতার

শেরপুরে নালিতাবাড়ীর বাগিচাপুরে আঞ্জুমানারা খাতুনকে হত্যার উদ্দেশ্যে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগে বিচারধীন মামলার জেল পলাতক আসামি মো. গিয়াস উদ্দিন প্রকাশ গেসুকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।

গ্রেফতারকৃত গেসু শেরপুরের নালিতাবাড়ী থানার মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে।

মঙ্গলবার শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীর বাগিচাপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এটিইউ জানায়, ২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গ্রেফতারকৃত আসামী ও তার সহযোগীরা সম্পত্তির বিরোধের জের ধরে নালিতাবাড়ী থানাধীন বাগিচাপুর গ্রামের বাসিন্দা আঞ্জুমানারা খাতুনকে তার নিজ বসতঘর থেকে টেনে হিচড়ে বের করে পাশ্ববর্তী একটি পুকুর পাড়ে এনে হত্যার উদ্দেশ্যে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আঞ্জুমানারা খাতুনের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট, ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ ডিসেম্বর আঞ্জুমানারা খাতুনের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ভিকটিমের মেয়ে বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় গ্রেফতার মো. গিয়াস উদ্দিন প্রকাশ গেসু (৫৫) ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে নালিতাবাড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে আসামী গেসু (৫৫) ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।

এটিইউ আরও জানায়, এ মামলায় গ্রেফতারের পর গেসু শেরপুর জেলা কারাগারে আটক ছিলেন। কিন্তু ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর উদ্ভূত পরিস্থিতির সুযোগে আসামী মো. গিয়াস উদ্দিন প্রকাশ গেসু (৫৫) শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পলায়ন করেন। এ ঘটনায় কারা কতৃর্পক্ষ শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এরপর থেকে আসামী দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন। গতকাল এটিইউ আসামীর অবস্থান সনাক্ত করে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে নালিতাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন...