নারী সহকর্মীকে কলেজ অধ্যক্ষের কুপ্রস্তাব

মোঃ আহাদ মিয়া,মৌলভীবাজার: কমলগঞ্জ সরকারি গণ মহাবিদ্যালয় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নারী কর্মচারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ কমলগঞ্জ সরকারি গণ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো.কামরুজ্জামান মিঞা এর বিরুদ্ধে একই কলেজের নারী কর্মচারী প্রিয়াঙ্কাকে (ছব্দনাম) একাধিক বার যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানা যায়। ভিকটিম প্রিয়াঙ্কাকে রুমের মধ্যে একা পেয়ে স্পর্শ কাতর স্থানে স্পর্শ করার চেষ্টাসহ কুপ্রস্তাব প্রদান করে অধ্যক্ষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের একজন প্রভাষক বলেন অধ্যক্ষ এবং নারী কর্মচারীর বিষয়টি তিনি শুনেছেন, এরচেয়ে বেশি কিছু জানেন না, বলে এড়িয়ে গেলেন। অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মো.কামরুজ্জামান মিঞা বলেন আমার উপর আনা অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা, অভিযোগকারীকে পাঁচ হাজার টাকার একটি বিল না দেওয়ার কারণে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছেন। তবে কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর ভাষ্যমত সাথে অধ্যক্ষের ভাষ্যমত ভিন্নতা পাওয়া যায়।

আরো জানতে যোগাযোগ করা হয় কমলগঞ্জ সরকারি গণ মহাবিদ্যালয়ের এক ছাত্রনেতার সাথে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ছাত্রনেতা বলেন অধ্যক্ষের যৌন হয়রানির বিষয়টি তিনি জেনেছেন, কিন্তু কিছু করতে পারেননি, তিনি দাবি করেন কখনো শিক্ষক, ছাত্র কিংবা বহিরাগতদের মাধ্যমে যৌন হয়রানির মতো ঘটনা কলেজে প্রায় ঘটে।

তিনি আরও জানান অধ্যক্ষের এই দুর্বলতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অফিসে কর্মরত কর্মচারীরা ও কিছু শিক্ষক বিভিন্ন অপকর্মসহ ক্লাস রুমের মধ্যে প্রকাশ্যে ধুমপান করেন, যা শিক্ষক সমাজ থেকে আশা করিনি। এসব কার্যকলাপ কেবল শুধু শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু বহিরাগত কলেজে প্রবেশ করে নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে কলেজের এসব অনিয়ম ও যৌন হয়রানি স্থায়ী সমাধানের দাবি জানান।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সিফাত উদ্দিন, অধ্যক্ষ কর্তৃক কলেজের নারী কর্মচারীকে যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেলেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন...