নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতি বাতিল করতে হবে: চরমোনাই পীর

পিবিএ,ঢাকা: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ইসলামের মৌলিক শিক্ষা তথা কুরআনি শিক্ষা না থাকায় মানুষ উগ্রবাদে ধাবিত হচ্ছে। যুব সমাজ নেশাগ্রস্ত হয়ে নজ এবং সমাজকে ধ্বংস করছে।

কুরআনের আলো ছড়িয়ে দিয়ে নৈতিকতা বিবর্জিত জাতিকে সৎপথে ফিরিয়ে আনতে হবে। কুরআনি শিক্ষা না থাকায় সমাজে মাদকাসক্ত ঐশীর মতো নৈতিকতাহীন মেয়ে সৃষ্টি হচ্ছে। সন্তানের হাতে বাবা-মাকে খুন হতে হচ্ছে, মায়ের দ্বারা শিশু হত্যার মত ঘটনাও ঘটছে। ৪ বছরের শিশু থেকে ৮০ বছরের বৃদ্ধারা ধর্ষিত হচ্ছে। তাই ৬৮ হাজার গ্রামে কুরআনী মক্তব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কুরআন থেকে দূরে থাকা জাতিকে কুরআনের পথে ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য শিক্ষার সকলস্তরের সিলেবাসে কুরআনি শিক্ষা বাধ্যতামূলকভাবে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। কওমী ধারার শিক্ষা ব্যবস্থা সমাজ সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। যারা কওমী মাদরাসাকে জঙ্গি তকমা দিয়ে ধ্বংস করতে চেয়েছে এরাই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। কওমী শিক্ষা ব্যবস্থা সগৌরবে টিকে আছে এবং টিকে থাকবে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী দীনি বিদ্যাপীঠ রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসার খতমে বোখারী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মাদরাসার পরিচালক মাওলানা সৈয়দ মমতাজুল করীম মোস্তাকের সভাপতিত্বে মাদরাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত খতমে বোখারী অনুষ্ঠানে বোখারী শরীফের শেষ হাদীসের দরস প্রদান করেন শায়খুল হাদীস মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই। এসময় মাদরাসা কমিটির দায়িত্বশীলবৃন্দ, ছাত্রীদের অভিভাবকসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, শিশুদেরকে কুরআনী শিক্ষা থেকে দূরে রাখতে কতিপয় ইসলাম বিরোধী এনজিও কাজ করে যাচ্ছে। কারণ কুরআনি শিক্ষা থাকলে মানুষকে বিপথগামী করা যায়না। তিনি বলেন, ধর্মহীন শিক্ষানীতির মাধ্যমে আমাদের সন্তানদেরকে বিপথগামী করতে সরকারের ভিতর ও বাইরে একটি নাস্তিক্যবাদী চক্র কাজ করছে। এদের চক্রান্তের কারণেই নাস্তিক্যবাদী সিলেবাস সংশোধন করা হয় না। তিনি কওমী মাদরাসাকে বিষবৃক্ষ আখ্যাদানকারী মেননদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

পিবিএ/একে/হক

আরও পড়ুন...