পিবিএ ডেস্ক : দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব আর দ্বন্দ্ব ছিল বহু বছর ধরেই। এবার সব দ্বন্দ্ব মিটিয়ে সুসম্পর্কের পথে হাঁটলেন জার্মানির বিদায়ী চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মার্কেল। জানালেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি বাহিনীর আক্রমণের দায় একান্তই তার দেশের। দু’দিনের সফরে গ্রিসে এসেছেন মার্কেল। গতকাল শুক্রবার এথেন্স পৌঁছেছেন তিনি। আর পৌছেই গ্রিক প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সাইপ্রাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। আলোচনা সেরেছেন গ্রিক প্রেসিডেন্ট প্রোকোপিস পাভলোপুলাসের সঙ্গেও।
যুদ্ধকালীন ক্ষতিপূরণ নিয়ে গ্রিস আর জার্মানির মধ্যে দীর্ঘদিন মন কষাকষি চলে আসছে। ইউরোপীয় দেশগুলির হস্তক্ষেপে ১৯৬০ সালেই একটি চুক্তির মাধ্যমে বিষয়টির মীমাংসা হয়েছিল বলে এতদিন দাবি করে এসেছে জার্মানি। কিন্তু গ্রিসের সরকার কোনদিনই সেই ক্ষতিপূরণে সন্তুষ্ট ছিল না। জার্মানির সঙ্গে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত সে সময় থেকেই।
মার্কেলের উপর বিদ্বেষ আরও বাড়ে ব্যয় সংকোচনের সময়ে। কয়েক বছর আগে দেশজুড়ে চলা চরম আর্থিক দুর্দশার সময় ব্যয় সংকোচনের রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য হয় গ্রিস সরকার। তার দায়ও দেশের সাধারণ মানুষ মার্কেলের আর্থিনৈতিক নীতির উপরেই চাপিয়েছিলেন। ২০১২ সাল এবং ২০১৪ সালে মার্কেলের গ্রিস সফরের দু’বারই গ্রিসে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে। হাজার হাজার মানুষ এথেন্থেসের রাস্তায় নেমেছিলেন বিক্ষোভ দেখাতে। এবার যাতে সেই পরিস্থিতি না হয়, সেজন্য সতর্ক ছিল দেশটির পুলিশ। শুধু মার্কেলের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতেই মোতায়েন করা হয়েছে ২০০০ পুলিশ। এথেন্সের প্রাণকেন্দ্রে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপরও কাল মার্কেলের সফরের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন এথেন্সের মানুষ।
পিবিএ/জিজি