পিবিএ ডেস্ক: ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোহানা সাবা এখন কাজ করছেন চলচ্চিত্রেও। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে বেশ সরব তিনি। মাঝে মাঝেই নিজের নানা অনুভূতি ব্যক্ত করেন ফেসবুকে। এখন চলছে বিশ্বকাপের মৌসুম। সেই জোয়ারে তাল মিলিয়ে সোহানা সাবা জানালেন নিজের অনুভূতি-
খুব ছোটবেলা থেকেই আমি জানি আমি বড় হয়ে নায়িকা হবো…আমার মা ৫ বছর বয়স থেকে আমাকে ভরতনট্টম ও মণিপুরি নাচ শিখিয়েছেন। নাচ, গান, তবলা, কবিতার প্র্যাকটিস করেই বড় হওয়া আমাদের ২ভাই-বোনের…।
বড় হয়ে নায়িকা হবো বলে কখনো আউট-ডোর গেমস খেলিনি। পড়ে গিয়ে হাত-পা ছড়ে দাগ হলে নায়িকা হবার কি হবে সেই ভয়ে
আউটডোর গেমস যেমন খেলিনি…তেমনি ফুটবল-ক্রিকেট- রেসলিং থেকে শুরু করে কিছু দেখতেও ইচ্ছা করত না ছোটবেলায়।উল্টো পাপা-ভাইয়ারা বড় কোনো ম্যাচ হলে, রাত হলেও জেগে ম্যাচগুলো দেখত বা দেখে বলে আরো আরো রাগ লাগে কোনো ম্যাচ শুরু হলে।
তারপরও বাংলাদেশ ভালো খেলছে শুনে মাঝে মাঝে খেলা দেখতে বসে যাই… সেদিনই দেখা যায় বাংলাদেশ হেরে যায়…আমি নিজেকে ‘কুফা’ ভেবে -আমি যে খেলা দেখি না সেটার একটা লজিক্যাল কারণ দাঁড় করিয়েছি।
যাইহোক, আজকাল তো শুধু রাগ নয়…রীতিমতো আমার অস্বস্তি হয় ম্যাচ হলে।অন্তত ফেসবুকের কারণে!
মানুষ অন্য দেশ বা অপরপক্ষ নিয়ে পুরো ম্যাচ চলাকালীন বাজে বকে যায়…কি যে মিন সেসব কথা…খুব খুব খারাপ লাগে-অস্বস্তি হয়..আর মনে হয় অন্য দেশের মানুষের কাছে ছোট হচ্ছিই এসব কারণে আমরা সবাই।
নিজেদের দেশের ছেলেরা বাজে খেললে মানুষজন নিজেদের দেশের ছেলেদের বাজে বকে যায়। মনে হয় ১৬ কোটি মানুষ খেলা এক্সপার্ট…অথচ আমি শিওর নিজের কাজ তো করেই না মনোযোগ দিয়ে উল্টো নিজের জন্যে এক কাপ চা-ও হয়তো ঠিক করে বানাতে পারে না…
নিজেদের সব না পাওয়া-সব ফ্রাস্টেশনের চাপ আমরা এই ১১জন প্লেয়ারদের ওপর চাপিয়ে দিই….অন্য দেশকে অন্য দেশের মানুষকে গালাগাল অথবা ছোট করি ফেসবুকে বা মাঠের বাইরে…অথচ খেলাটা শুধু মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত… অন্তত খেলোয়াড়দের জন্যে কিন্তু মাঠেই কম্পিটিশনটা সীমাবদ্ধ।
এত হিংসা বিদ্বেষ আমাদের মধ্যে সেটা এই খেলার সময় বোঝা যায়…সে যাই হোক, আমি খেলা দেখি না…এই বেশ ভালো আছি।
পিবিএ/বিএইচ