ইনসান সাগরেদ,পঞ্চগড় প্রতিনিধি: না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন পঞ্চগড়ের বর্ষিয়ান নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফুল ইসলাম(৮৭)। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। বুধবার বাধর্যকজণিত
কারণে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বুধবার রাত দুইটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৭ ছেলে মেয়েসহ অসংখ্য আত্বীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি রাশেদ খান মেনন ছাত্র ইউনিয়নের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন পরবর্তীতে মাওলানা ভাসানীর অনুসারী ছিলেন। পঞ্চগড় জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগদেন। মৃত্যুর আগে তিনি জাতীয় পার্টি (জেপি) পঞ্চগড় জেলা সভাপতি ছিলেন। তিনি বোদা ও সদর উপজেলার গরিনাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের তিনবার নিবার্চিত চেয়ারম্যান
ছিলেন। দুই বার বোদা উপজেলা পরিষদের নিবার্চিত চেয়ারম্যান ছিলেন।
তিনি অসংখ্য স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া শিক্ষা,কৃষি, সেচ, ও নগর উন্নয়নে তঁর ঐতিহাসিক অবদান রয়েছে।তিনি ৬২’র ছাত্র আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন।তার মৃত্যুতে গোটা জেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে । পঞ্চগড় বিপি সরকারি স্কুল মাঠে বেলা সাড়ে ১১ টায় প্রথম এবং বিকাল তিনটায় ফুটকিবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে দ্বিতীয় জানাযা শেষে গ্রামের
বাড়ি সদর উপজেলার গরিনাবাড়ি ইউনিয়নের ঠাটপাড়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে রাস্ট্রীয় মযার্দায় তাঁকে দাফন করা হয়। দুটি জানাযায় বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেয়। এর আগে পঞ্চগড় সদর থানার একটি চৌকস পুলিশ দল তাঁকে গার্ড অব অনার্র প্রদান করেন। এ সময় উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. জাকির হোসেন ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্ প্রদীপ কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন।