না ফেরার দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম এ মতিন


চাঁদপুর প্রতিনিধি : চলে গেলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম এ মতিন।

বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে এম এ মতিন ওরফে মতিন স্যার চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরস্তি) আসনের ৪ বারের প্রাক্তন এমপি, প্রাক্তন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, প্রাক্তন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক সহকারি প্রধান শিক্ষক এবং একজন কৃতিমান ফুটবলা খেলোয়াড় হিসাবে পরিচিত ছিলেন।

মঙ্গলবার সকাল ৯.১৫ মিনিটের সময় ঢাকার মিরপুরে একটি হাসপাতালে বার্ধ্যক্যজনিত কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

তিনি ১ ছেলে ৪ মেয়েসহ অসংখ্যগুণগ্রাহী ও অসংখ্য রাজনৈতিক সহকর্মী রেখে গেছেন।

তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর ছেলে খালেদ মিঠু।

এম এ মতিনকে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের নিজ গ্রামে তাঁর বাবা-মায়ের পাশে সমাধিস্থ করা হবে বলে জানান তাঁর ছেলে মিঠু।

এম এ মতিনের বাবা খান সাহেব জুনাব মুন্সি পাকিস্তান আমলে এমএলএ ছিলেন। তিনি ছিলেন অত্র অঞ্চলের জমিদার। তার ছিল ৪ ছেলে। এর মধ্যে এম এ মতিন ছিল সবার ছোট।
এম এ মতিন (মতিন স্যার) ছাত্র অবস্থায় খুবই ভালো ফুটবলার খেলোয়াড় ছিলেন। শিক্ষাজীবন শেষ করে তিনি হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজ সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে ইংরেজী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।

তিনি ১৯৭৭ সালে সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রথম ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

পরবর্তী চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরস্তি) আসন থেকে ধানের শীষের প্রতীকে ৭৯, ৯১, ৯৬ (স্বল্প সময়) ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৮৫ সালে তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচিত হন।

সাবেক এমপি এম এ মতিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি আসনের সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম।

এক শোক বার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

পিবিএ/মহিউদ্দিন আল আজাদ/এমএ

আরও পড়ুন...