নিউজিল্যান্ডে নিহত ড. সামাদের মরদেহ কুড়িগ্রামে আনার দাবি

পিবিএ, কুড়িগ্রাম: নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল নুর মসজিদে হামলার ঘটনায় নিহত দুই বাংলাদেশীর একজন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বাসিন্দা কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. আব্দুস সামাদের মরদেহ তার দেশের বাড়ি নাগেশ্বরী উপজেল মধুর হাইল্ল্যা গ্রামে আনার দাবি জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের হাসপাতালে রাখা মরদেহ সনাক্তের চেষ্টা চলছে। এখানে লাশ সনাক্তের জন্য ড. আব্দুস সামাদের স্ত্রী কেশোয়ারা বেগম। সাথে তার দুই ছেলে সন্তান সঙ্গে আছেন।
গ্রামের বাড়িতে থাকা বাড়িতে থাকা ড. আব্দুস সামাদের বড় ভাই মতিয়ার রহমান পিবিএ’কে জানান, আমরা ড. আব্দুস সামাদের মরদেহ দেশের আনার সু-ব্যবস্থা করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চাচ্ছি। তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে আসলে ড. আব্দুস সামাদকে পিতা জামাল উদ্দিনের কবরের পাশে তাকে দাফন করতে চাই।
ড. সামাদের ভাতিজা আব্দুল মান্নান পিবিএ’কে জানান, আমরা চাচা আব্দুস সামাদকে তার গ্রামের বাড়িতেই দাফন করার জন্য পারিবারিকভাবে অনেকটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের হাসপাতালে রাখা মরদেহ সনাক্তের চেষ্টা চলছে। এখানে লাশ সনাক্তের জন্য ড. আব্দুস সামাদের স্ত্রী কেশোয়ারা বেগম ও তার দুই সন্তান সঙ্গে আছেন। লাশ সনাক্ত হলেই তা বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান আব্দুল মান্নান।

উল্লেখ্য, ড. আব্দুস সামাদ নাগেশ্বরী ডিএম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। এরপর এইচএসসি শেষে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে ওই বিশ্ব বিদ্যালয়ে কৃষি তথ্য বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগাম অবসর গ্রহণ করার পর তিনি ৫ বছর আগে স্ব-পরিবারে নিউজিল্যান্ড চলে যান। সেখানে তিনি লিংকন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রী গ্রহণ করেন।
নিউজিল্যান্ডে স্ত্রী কিশোয়ারাসহ ২ ছেলে তানভীর ও তারেক সাথেই থাকতেন। নিহতের আগ পর্যন্ত তিনি নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল নুর মসজিদে মোয়াজ্জিনের দায়িত্বরত ছিলেন। তার বড় ছেলে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার তোহা মোহাম্মদ ঢাকায় একটি কোম্পানীতে কর্মরত।

পিবিএ/ইএ/ হক

আরও পড়ুন...