পিবিএ স্পোর্টস ডেস্ক : আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ অ্যান্ডি মোলস গতকাল মঙ্গলবার অনুশীলনের পর নিজেদের আন্ডারডগ দাবি করে নিরাপদ পথেই হাঁটলেন।
আফগানরা অবশ্য এই টেস্টের জন্য আঁটঘাঁট বেঁধেই অনুশীলন করছে। আবুধাবির পর বাংলাদেশেও অনুশীলন চলছে নিবিড়। নিজেদের কী করতে হবে, সেটাও ভালোমতোই জানেন মোলস, “আমি আসলে আলাদা কোনো জায়গা নিয়ে চিন্তিত নই। সববিভাগেই আমাদের আরও বেশি ধারাবাহিক হতে হবে। আমরা মাত্র নিজেদের তৃতীয় ম্যাচ খেলছি। আমাদের আরও বেশি সময় নিয়ে ব্যাট করতে হবে। দ্বিতীয় আর তৃতীয় স্পেলে আমাদের বোলারদের আরও ভালো বোলিং করতে হবে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, ফিল্ডিং করার সময় আমাদের মনোযোগ যেন আরও বেশি থাকে। এই ফরম্যাটে আমরা একদমই শিশুতোষ অবস্থায় আছি বলা যায়। তবে আমি কোনো অজুহাত দিচ্ছি না। আমরা যদি ভালো করতে নাও পারি, কিছু হলেও তো শিখতে পারব। টেস্ট ক্রিকেট যত বেশি খেলব, ততই আমাদের সব বিভাগে আরও বেশি ভালো করতে হবে।”
কিন্তু স্পিনের প্রসঙ্গটা চলে আসছে বার বার। এই মাঠে সর্বশেষ টেস্টে বাংলাদেশ মাত্র একজন পেসার নিয়ে নেমেছিল। মুস্তাফিজ সেবার মাত্র চার ওভার বল করেছিলেন, এবার তো দলেই নেই। এই টেস্টেও বাংলাদেশ কোনো পেসার নিয়ে খেলবে না, এমন সম্ভাবনাই প্রবল। আফগান কোচের কথা শুনে ধারণা পাওয়া পাওয়া গেল, তারাও এমন কিছুই আশা করছেন, “আমি ওদের স্পিন আক্রমণ নিয়ে বিস্মিত নই। শেষ কয়েকটি ম্যাচে ওরা কোন বোলারদের খেলিয়েছে সেটা আমরা দেখেছি। ক্রিকেট তো অনেক বছর ধরে দেখছি। হোম অ্যাডভান্টেজ তো আসলে এটাই। শক্তিশালী একটা স্পিন আক্রমণ না দেখলেই বরং আমি বিস্মিত হব। আমাদের নিজেদেরও একটা ভালো স্পিন আক্রমণ আছে।”
কিন্তু দুই দলের স্পিন আক্রমণের তুলনাটা কেমন হবে তার চোখে? মোলস সে রকম কিছু বলতে রাজি হলেন না। তবে নিজেরা কেমন একাদশ খেলাবেন, শেষ পর্যন্ত উইকেট দেখেই সেই সিদ্ধান্ত নিতে চান, “ওরা দেখলাম কয়েকটা উইকেট তৈরি করেছে। শেষ পর্যন্ত কোনটা ব্যবহার করবে সেটা জানার পর কিছু বলতে পারব। তবে আমাদের সবাই ফিট এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত। কোন উইকেটে খেলা হবে সেটা জানার পর আমরা একাদশ চূড়ান্ত করতে পারব।”
পিবিএ/মোফা